নাবার্ডের মতে পরের অর্থবর্ষে ঋণ বৃদ্ধির হার হতে পারে ৯.৩%। প্রতীকী ছবি।
পরের অর্থবর্ষে রাজ্যে কৃষি-সহ অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে ২.৭০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানাল নাবার্ড। তাদের মতে, সে ক্ষেত্রে ঋণ বৃদ্ধির হার হতে পারে ৯.৩%। প্রতি বছরের মতো এ বারও পরবর্তী অর্থবর্ষের জন্য রাজ্যের ঋণদানের পূর্বাভাস করেছে তারা। সম্প্রতি সেই সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে ঋণদান বাড়ানোর জন্য ব্যাঙ্কগুলির এগিয়ে আসা জরুরি বলে জানিয়েছেন নাবার্ডের চিফ জেনারেল ম্যানেজার ঊষা রমেশ। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থিক পরিষেবা পৌঁছতে এবং বেশি মানুষকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় আওয়ায় আনতে রাজ্যের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প কার্যকরী মাধ্যম বলে জানান তিনি।
প্রতি অর্থবর্ষের গোড়াতেই বিভিন্ন রাজ্যে অগ্রাধিকার ক্ষেত্রের অবস্থা খতিয়ে দেখে সেখানে কত টাকা ঋণ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, তা আগাম জানিয়ে দেয় নাবার্ড। সেই অনুসারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং সমবায় ব্যাঙ্কগুলির লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় রাজ্য ভিত্তিক ব্যাঙ্কার্স কমিটি। বড় অংশই পুনঃঋণ বা রিফিনান্স হিসাবে জোগায় নাবার্ড।
তবে রাজ্যের প্রতিনিধি হিসাবে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষি দফতরের প্রিন্সিপাল সচিব ও সি মীনা অভিযোগ করেন, অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্যমাত্রার থেকে কম ঋণ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যে তাঁতি ও কারিগরদের ঋণের আবেদন খারিজের অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর এবং অর্থ দফতরের মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্রও।
এ দিকে অনুষ্ঠানে রমেশ জানান, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলি মেডিসিন এবং বড় পর্দা ব্যবহার করে শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগী হবে নাবার্ড।