আইএল অ্যান্ড এফএসকে 'AAA' রেটিং দিয়েছিল মূল্যায়ন সংস্থা। —ফাইল চিত্র।
নগদের অভাবে সঙ্কটে পড়া আইএল অ্যান্ড এফএসকে দেখে সতর্ক মিউচুয়াল ফান্ড শিল্প। পরিকাঠামোয় ঋণদাতা সংস্থাটির সমস্যা থেকে শিক্ষা নিয়ে ব্যবসায় নতুন কৌশল গ্রহণের ছক কষছে তারা।
এলআইসি মিউচুয়াল ফান্ডের সিইও রাজ কুমার বলেন, ‘‘সংস্থাগুলির কাছ থেকে বড় তহবিল টানার বদলে খুচরো লগ্নিকারীদের উপর বেশি জোর দেব। মূলধনী বাজারে সমস্যা হলে সংস্থার মতো একলপ্তে বড় অঙ্কের টাকা তোলেন না তাঁরা।’’
তার উপরে, আইএল অ্যান্ড এফএসকে 'AAA' রেটিং দিয়েছিল মূল্যায়ন সংস্থা। অথচ এই রেটিংকে লগ্নির জন্য ভরসাযোগ্য ধরা হয়। ফলে মূল্যায়নের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। রাজ কুমারের দাবি, ‘‘রেটিং সংস্থার উপর নির্ভরশীলতা কমাতে বিশেষজ্ঞ দল গড়েছি। লগ্নিতে তাদের সুপারিশকেই প্রাধান্য দেব।’’ মিরে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও স্বরূপ মোহান্তি অবশ্য বলছেন, ‘‘রেটিংয়ে পুরো নির্ভর করা অনুচিত। লগ্নির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বহু বিষয় থাকে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি গবেষণা বিভাগের সুপারিশে জোর দিই।’’ একই দাবি আইসিআইসিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের কর্তারও।
আইএল অ্যান্ড এফএস সমস্যা সামনে আসার পরে ফান্ডে লগ্নি দ্রুত কমেছে, জানান কুমার। ২.৫ লক্ষ কোটি লগ্নি তুলে নেন বিনিয়োগকারীরা।