—প্রতীকী চিত্র।
বাসমতী বাদে অন্যান্য সাদা চালের রফতানি নিষিদ্ধ হয়েছিল আগেই। এ বার দেশে জোগান বাড়িয়ে দাম কমাতে সেদ্ধ চালের রফতানিতেও ২০% শুল্ক চাপাল মোদী সরকার। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আনাজ, চাল, গম-সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চড়া দামে আমজনতাকে হিমশিম খেতে দেখে কার্যত প্রমাদ গুনছে শাসকদল। আগামী বছর লোকসভা ভোটের আগে যে কোনও ভাবে তাঁদের স্বস্তি দিতে মরিয়া তারা। যে কারণে দেশের বাজারে দ্রুত চাল, গম, পেঁয়াজ, টোম্যাটোর মতো বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের জোগান বাড়ানোর নানা ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আবার সামনে উৎসবের মরসুম। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত খাদ্যপণ্যের দাম না কমলে মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়তে পারে। তাই ১৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাল কেল্লা থেকে মানুষকে দামের বোঝা কমানোর বার্তা দিয়েছেন। এই অবস্থায় শুক্রবার রাতে অর্থ মন্ত্রক সেদ্ধ চালে ২০% রফতানি শুল্ক বসানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করে। অবিলম্বে লাগু হয়ে তা বহাল থাকবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত। সূত্রের দাবি, এই পদক্ষেপে বাসমতি বাদে বাকি সব ধরনের চাল রফতানিতেই নিয়ন্ত্রণ বসল। গত বছর সেপ্টেম্বরে ক্ষুদের রফতানি নিষিদ্ধ হয়েছিল।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বলেছিল, দেশে চালের দাম এক বছরে ১১% বেড়েছে। এক মাসে ৩%। এই অবস্থায় পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্দেশ্যে তার রফতানি নীতি বদলাল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভোটের মুখে কেন্দ্রের সামনে দ্রুত জোগান বাড়িয়ে দাম কমানোর অন্যতম পথ এটাই। তবে এতে বিশ্ব বাজারে সরবরাহ কমায় খাদ্য সঙ্কট বৃদ্ধির আশঙ্কাও থাকছে।