প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
আর কয়েক মাস পরেই লোকসভা নির্বাচন। সে কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র বিলগ্নিকরণে রাশ টানতে পারে বলে খবর সরকারি সূত্রের। ফলে পরের অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) তার লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবর্ষের থেকে কম তো বটেই, এমনকি গত ৯ বছরের মধ্যে সব থেকে নীচে নামতে পারে বলে মত অর্থ মন্ত্রকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তার।
প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিলগ্নি ও বেসরকারিকরণে জোর দিয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু তথ্য বলছে, গত ন’বছরে মাত্র দু’বার লক্ষ্য ছুঁতে পেরেছে তারা। ২০২০ সালে একাধিক ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থা বিলগ্নির পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। একমাত্র এয়ার ইন্ডিয়ার নিলাম সফল হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্র বিলগ্নির লক্ষ্য ঠিক করেছিল ৫১,০০০ কোটি টাকা। তবে সেটাও ছোঁয়া যাবে কি না, সন্দেহ রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
সরকারি সূত্রের খবর, এই অবস্থায় আগামী অর্থবর্ষে ওই লক্ষ্য কী হবে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে ভোটের কথা মাথায় রেখেই বিলগ্নিকরণ এবং বেসরকারিকরণ কর্মসূচি থেকে কেন্দ্র চোখ সরিয়ে রাখছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী বাজেট তৈরিতে ব্যস্ত অর্থ মন্ত্রক। ফলে বিলগ্নি নিয়ে সংবাদ সংস্থার প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, কর্মীদের ও ইউনিয়নের বিরোধিতা মাথায় রেখে ক্ষমতায় থাকা সব সরকারই ভোটের আগে বিলগ্নি এবং বেসরকারিকরণ থেকে পিছিয়ে আসে। তার উপরে বেশ কিছু বড় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শেয়ার বিক্রি হয়ে গিয়েছে (আইনত কেন্দ্রের হাতে থাকতে হয় ৫১%)। ফলে পরের বছরে বিলগ্নির লক্ষ্য কমতে পারে।