বিশ্বব্যাঙ্কের সহজে ব্যবসা করার পরিবেশ তৈরির (ইজ অব ডুয়িং বিজনেস) মাপকাঠিতে চলতি বছরে ২৩ ধাপ এগিয়ে ৭৭-এ পা রেখেছে ভারত। এ বার ১৯০টি দেশের মধ্যে সেরা ৫০-এর তালিকায় নাম লেখানোই যে সরকারের পাখির চোখ, সেই বার্তা পৌঁছে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লক্ষ্য পূরণের ছক কষতে সোমবার তড়িঘড়ি বৈঠকে বসলেন শিল্প মহলের সঙ্গে। জানালেন, এই চ্যালেঞ্জ ছোঁয়ার অন্যতম অস্ত্রও সেই ডিজিটাল। যেখানে কৃত্রিম মেধা, ইন্টারনেট অব থিংস, অ্যানালিটিক্স, ব্লকচেন-সহ অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরে সংস্কার এগিয়ে নিয়ে যাবেন তাঁরা।
তবে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, ৫০-এর নিশানায় জোর দিলেও প্রধানমন্ত্রীর আসল লক্ষ্য দেশে লগ্নির খরা কাটানো। যে কারণে শিল্পকে বোঝানোর চেষ্টায় কসুর করছেন না তিনি। কারণ, এ বছর ২৩ ধাপ এগোনো সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠেছে, ব্যবসা করার পথ না হয় সহজ হচ্ছে, কিন্তু লগ্নির দেখা কোথায়? নতুন করে বড় কল-কারখানা তৈরি হচ্ছে না কেন? কেনই বা কর্মসংস্থানে হিমসিম অবস্থা? এমনকি চোখে পড়ার মতো বিদেশি লগ্নিও তেমন আসছে না বলে আঙুল উঠেছে।
ভোটের মুখে এ দিন অবশ্য মোদীর দাবি, তাঁর জমানায় নীতি নির্ভর প্রশাসন ও স্বচ্ছ বিধি-নিয়মই সহজে ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে এগিয়ে দিচ্ছে ভারতকে। আগের বছর ঠাঁই হয়েছে ১০০-র গণ্ডিতে। এ বার আরও এগিয়ে ৭৭-এ। আগামী দিনে হবে সেরা ৫০-এর তালিকায়।
এ দিন বৈঠকে ছিলেন মহীন্দ্রা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান আনন্দ মহীন্দ্রা, বেদান্ত রিসোর্সেসের অনিল আগরওয়াল, সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট রাকেশ ভারতী মিত্তল প্রমুখ। ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে সংস্কারের বার্তাকে স্বাগত জানান তাঁরা।