এমএসএমই শিবির। —প্রতীকী ছবি।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলির সমস্যা মেটাতে প্রতি বছরের মতো এ বারও জেলাওয়াড়ি বিশেষ শিবির করছে রাজ্য। ব্যবসা চালাতে প্রয়োজনীয় সাহায্যও করা হবে সেখানে। শুরু হবে ১৪ নভেম্বর হাওড়া দিয়ে। ২০ নভেম্বর হবে হুগলিতে। শিবিরগুলির পোশাকি নাম ‘সিনার্জি এমএসএমই’।
শুক্রবার রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ পাণ্ডে বলেন, ‘‘দেড়-দু’মাসে সব জেলার জন্য সিনার্জি ক্যাম্প বসবে। তবে বড় জেলাগুলিতে আলাদা করে হলেও, ছোট জেলার ক্ষেত্রে দু’টি বা তিনটি একসঙ্গে করে একটি হবে। যেমন, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের যৌথ শিবির হবে মুর্শিদাবাদে। আবার পাহাড়ের তিন জেলাকে নিয়ে হবে আর একটি। সেখানে ক্ষুদ্র-মাঝারি সংস্থাগুলি সমস্যার কথা জানালে প্রশাসন দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করবে।’’ উল্লেখ্য, রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বর্জ্য নিষ্কাশন ইত্যাদি থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতা বা ছাড়পত্র— যে কোনও সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হয় সিনার্জি ক্যাম্পে। ছোট শিল্পের সংগঠন ফসমির সভাপতি বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার কথা তালিকা আকারে কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’’
এ দিকে, এই দিন ফসমির এক সভায় রাজেশ জানান, রাজ্যে যে ক্ষুদ্র শিল্প নীতি আছে তা আরও সময়োপযোগী করার ভাবনা রয়েছে। সে জন্য ফসমির মতো সংগঠনের থেকে পরামর্শ পেতে আগ্রহী তাঁরা। রাজেশের কথায়, ‘‘চাইছি এমন এক নীতি, যাতে সবার উপকার হয়। তাই নতুন কিছু সেখানে যোগ করতে হলে তা অবিলম্বে জানান। ব্যবস্থা নেব।’’