—প্রতীকী চিত্র।
কেন্দ্র রোজগারের জন্য শুধু চাকরি না খুঁজে উদ্যোগপতি হওয়ার পরামর্শ দিলেও, ঋণ পেতে হয়রানির অভিযোগ তুলছে বহু নতুন উদ্যোগ। বুধবার বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বারের সভায় সেই সমস্যা মেটানোরই সওয়াল করলেন রাজ্যের অন্যতম অতিরিক্ত মুখ্যসচিব তথা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সচিব সুব্রত গুপ্ত। তাঁর দাবি, কোনও নতুন উদ্যোগপতির প্রকল্পে সরকার ভর্তুকি দিলেও তাঁর কাছে হিসাবের খাতা চাওয়া হচ্ছে ঋণ দেওয়ার জন্য। যিনি ব্যবসা শুরুই করেননি, তিনি ওই নথি দেবেন কী করে?
রাজ্যের পাশাপাশি এ দিন সভায় কেন্দ্রীয় কৃষি রফতানি সংস্থা অ্যাপেডা, খাদ্য নিয়ন্ত্রক এফএসএসএআই এবং নাবার্ডের কর্তারা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালনে পশ্চিমবঙ্গের সম্ভাবনা তুলে ধরেন। সুব্রতবাবু বলেন, কৃষিপণ্য, ফল ইত্যাদির অপচয় রোধ করে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য তৈরির বিরাট সুযোগ রয়েছে এ রাজ্যে। তবে এ ক্ষেত্রে উদ্যোগপতিদের সামনে পুঁজি জোগাড় যে বড় বাধা, সে কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা নানা সম্ভাবনার কথা বলছি। ছোট ও নতুন উদ্যোগপতিদের উৎসাহিত করছি। তাঁরা আসছেন। প্রকল্প জমা দিচ্ছেন। কিন্তু সরকার, ব্যাঙ্ক বা নাবার্ড থেকে তাঁদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে প্রথমেই সন্দেহ দানা বাঁধছে উদ্দেশ্য নিয়ে। ব্যাঙ্কে গেলে শুনতে হচ্ছে, সিবিল স্কোর যথেষ্ট ভাল না হওয়ায় ধার পাবেন না। যদিও সেই ঋণের পিছনে রয়েছে সরকারের ভর্তুকি।’’
সুব্রতবাবুর দাবি, ‘‘একজন ছোট উদ্যোগপতিকে হিসাবের খাতা জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি তো উদ্যোগ শুরুই করেননি! একজনের থেকে নতুন ব্যবসার অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়া হয়েছে। যাঁর অভিজ্ঞতা থাকবে, তাঁর উদ্যোগ নতুন হবে কী করে?’’ সচিবের বক্তব্য, এই মানসিকতা না বদলালে উদ্যোগপতি হওয়ার বার্তা দিয়ে লাভ নেই। এই প্রসঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, তাঁরা ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আগে যাচাই করে নেন, পরের পাঁচ বছরে কী কী খাতে সেই টাকা খরচ করা হবে। ব্যবসার লাভ-ক্ষতির সম্ভাবনাই বা কতটা? তাতে নিশ্চিত হয়েই ঋণ দেওয়া হয়।