রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার জীবনাবসান। ফাইল চিত্র।
ধনকুবের রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার জীবনাবসান। বয়স হয়েছিল ৬২। রবিবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তিনি প্রয়াত হন। সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা রাকেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
ভারতীয় শেয়ার বাজারের ‘বিগ বুল’ বলা হয় রাকেশকে। বলা হয়, তিনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে কখনওই ভুল করতেন না।
কয়েক দিন আগে তিনি একটি জুতো সংস্থার শেয়ার কিনেছিলেন, সেটিও কয়েক দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে পৌঁছে যায়। এক দিনে তিনি লাভ করেন ২২১ কোটি টাকা। ক’দিন আগেই আকাশে ওড়ে তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় আকাশা এয়ারলাইন্সের বিমান। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে লাভ এবং সম্পত্তির পরিমাণের জন্য তাঁকে বলা হত ভারতের ‘ওয়ারেন বাফে’। অতিমারির সময় যখন বিশ্বের বেশিরভাগ সংস্থার লোকসান হচ্ছে, তখনও রাকেশের সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
১৯৮৫ সালে স্টক মার্কেটে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করেছিলেন রাকেশ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে টাকার অঙ্কটা বেড়ে হয় ১১ হাজার কোটি টাকা।
১৯৬০ সালের ৫ জুলাই হায়দরাবাদের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম রাকেশের। পরে তাঁর বেড়ে ওঠা মুম্বইয়ে। সিডেনহ্যাম কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড ইকনমিক্স থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করার পরে রাকেশের পরবর্তী গন্তব্য ছিল ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া। কলেজে পড়ার সময়েই রাকেশের আগ্রহ ছিল স্টক মার্কেট নিয়ে। এই ধারা তিনি পেয়েছিলেন তাঁর বাবার কাছ থেকে। তাঁর বাবা ছিলেন আয়কর বিভাগের অধিকর্তা। আগ্রহী ছিলেন স্টক মার্কেট নিয়ে। অতঃপর, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের দৌলতেই তিনি হয়ে ওঠেন কিংবদন্তি। মাত্র ৬২ বছরেই থেমে গেল এমন এক ব্যক্তিত্বের যাত্রা।