সেবির নির্দেশ পেয়ে এ বার সহারার জমি বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করে দিল এইচডিএফসি রিয়েলটি এবং এসবিআই ক্যাপিটাল মার্কেটস। দেশ জুড়ে সংস্থাটির ঝুলিতে থাকা মোট ৬১টি সম্পত্তি বিক্রি হবে বৈদ্যুতিন নিলাম (ই-অকশন) মারফত। এর মধ্যে ৩১টি বেচবে এইচডিএফসি রিয়েলটি। সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিপ্রেক্ষিতে যার ন্যূনতম দর প্রায় ২,৪০০ কোটি টাকা রেখেছে তারা। বাকি ৩০টি এসবিআই ক্যাপিটাল। সেগুলির ক্ষেত্রে বাজারদর ধরা হয়েছে প্রায় ৪,১০০ কোটি।
সহারার এই সম্পত্তিগুলি পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, অসম-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে। আর তার আওতায় রয়েছে কৃষি, আবাসন, শিল্প-বাণিজ্য ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জমি।
সুপ্রিম কোর্টের কাছে আগেই এই জমিগুলি সম্পর্কে তথ্য পেশ করেছিল সহারা। শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবিকে এ বার সেগুলি বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। তার পরেই সেবি এ ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেয় এইচডিএফসি রিয়েলটি ও এসবিআই ক্যাপকে। সেই লক্ষ্যে হাঁটার জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে শুরু করে দিয়েছে তারাও।
এইচডিএফসি রিয়েলটি জানিয়েছে, ‘‘বৈদ্যুতিন নিলামের মাধ্যমে জমি বিক্রি করা হবে। এর দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে প্রকাশ্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে।’’
নিজেদের দায়িত্বে থাকা ৩০টি সম্পত্তি বিক্রির জন্য সেগুলি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে এসবিআই ক্যাপও। তাদের দাবি, এর মধ্যে থাকবে সেগুলি কোথায় কোথায় অবস্থিত তার মানচিত্রও। সূত্রের দাবি, ‘‘এই ৩০টি সম্পত্তির গোটা নিলাম প্রক্রিয়া আগামী চার মাসের মধ্যেই সেরে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে প্রথম পাঁচটির জন্য বিজ্ঞাপন সম্ভবত চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ করা হতে পারে।’’
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সম্পত্তিগুলি সংশ্লিষ্ট এলাকার ন্যূনতম দামের ৯০ শতাংশের চেয়ে কম দামে বিক্রি করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, বাজার থেকে তোলা টাকা লগ্নিকারীদের মেটানো নিয়ে সেবির সঙ্গে চলা সহারার এক মামলায় প্রায় বছর দুয়েক তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন সংস্থা-কর্তা সুব্রত রায়। বর্তমানে প্যারোলে মুক্ত।