শালবনিতে জিন্দলদের প্রকল্পের মধ্যে থাকা জমির মাপজোক শুরু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
শালবনি: প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছেই একটি শিল্পতালুক (ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক) তৈরি করবে জিন্দল গোষ্ঠী। সংস্থা সূত্রের খবর, প্রধানত বৈদ্যুতিক এবং বৈদ্যুতিক কেন্দ্র বা ‘হাব’ তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। সোমবার তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটির পাশাপাশি এই তালুকেরও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সজ্জন জিন্দল জানান, ২০০০ একর জমিতে গড়া হবে এটি। অত্যাধুনিক এবং আন্তর্জাতিক মানের হবে এই শিল্পতালুক। জাপান, কোরিয়া-সহ একাধিক দেশের নামী সংস্থাগুলিকে এখানে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক এবং বৈদ্যুতিন ক্ষেত্রের প্রথম সারির বিভিন্ন সংস্থা থাকবে সেই তালিকায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জিন্দল গোষ্ঠীর অন্যতম বড় সাফল্য এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক বা শিল্পতালুক তৈরির সিদ্ধান্ত। এতে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।” একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই ৯টি এ রকম পার্ক তৈরি করেছে। যেখানে বহু ছোট-বড় সংস্থা লগ্নি করেছে।
সজ্জন শালবনির এই শিল্পতালুককে তাঁর ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ আখ্যা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, এখানে যে সব সংস্থা আসবে, তারা কম দামে বিদ্যুৎ, জল-সহ সব রকম পরিকাঠামোগত সুবিধা পাবে। ব্যবস্থা থাকবে সড়ক ও রেল যোগাযোগেরও। তিনি বলেন, “আমেরিকা শুল্ক যুদ্ধ শুরুর পরে এমন বহু জাপানি ও কোরীয় সংস্থার চাহিদা বেড়েছে, যারা আইফোন কিংবা অন্য মোবাইলের চিপ তৈরি করে। তাদের আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক সংস্থা যাতে আসে, ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে তা নিয়েও।” সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, আলাদা ভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রাসায়নিক সংস্থাকেও শিল্পতালুকে টেনে আনায়।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, এই শিল্পতালুক শালবনি-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের শিল্প মানচিত্রকে অনেকটা বদলে দেবে। জিন্দলের কথায়, “যে শিল্প পার্ক গড়ে উঠবে, তা পূর্ব ভারতে কোথাও নেই। অত্যাধুনিক শহরের মতো করেই এর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তৈরি হয়ে গেলে তা শুধু বাংলা নয়, গোটা পূর্বাঞ্চলের শিল্পের ছবিটাই বদলে যাবে।”
এ দিন সজ্জনের আরও দাবি, এই সব প্রকল্প তৈরি হলেও গোষ্ঠীর হাতে প্রায় ৮০০ একরের মতো জমি থাকবে। সেখানে পরে আরও কিছু করার পরিকল্পনা আছে। রাজ্যের গাড়ি শিল্পে কিছু লগ্নির সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে জিন্দল বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে অনুসারি শিল্পের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সে দিক থেকে সমস্যা আছে। তবে আসব কি আসব না, তা নিয়ে নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলছি না।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, তাঁর এই মন্তব্যে ধোঁয়াশা আছে বটে। ধন্দও স্পষ্ট। তবে সেই সঙ্গে রাজ্যে লগ্নির ক্ষেত্রে আরও একটু আশার আলোও দেখা যাচ্ছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে