ধনতেরসের দিন রাত দু’টো পর্যন্ত কেনাকাটা চলেছে শহরে গয়নার বাজারে। উপচে পড়েছে ভিড়। চাহিদার সেই বহর দেখে উৎসাহিত গয়না শিল্প। তাদের আশা, নোটবন্দি, জিএসটি এবং সর্বোপরি ৫০ হাজার টাকার বেশি গয়না কেনার ক্ষেত্রে আধার কার্ডের তথ্য নথিভুক্ত করার নিয়ম চালু হওয়ার ফলে গয়না শিল্পের ব্যবসায় যে কালো মেঘ জমেছিল, তা এ বার কাটতে চলেছে।
গয়নার বাজার চাঙ্গা দেখার আশায় ধনতেরসের পর এ বার বিয়ের মরসুমের দিকেই তাকিয়ে ব্যবসায়ীরা। নেমিচাঁদ বামালওয়া অ্যান্ড সন্সের কর্তা তথা জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাছরাজ বামালওয়া বলেন, ‘‘ধনতেরসের কেনাকাটা দেখে গয়নার বাজার চাঙ্গা হওয়া নিয়ে আমরা যথেষ্ট আশাবাদী। ওই দিন রাত ২টা পর্যন্ত কেনাকাটা করেছেন ক্রেতারা। আমাদের আশা, গয়না কেনার চাহিদা এ বার ক্রমশ স্বাভাবিক হবে।’’
আগামী মাসের শেষ থেকেই শুরু হচ্ছে বিয়ের মরসুম। গয়না ব্যসায়ীদের আশা, এ বার ধীরে ধীরে চাহিদা বাড়তে থাকবে। স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির সভাপতি সুবীর সেন বলেন, ‘‘তবে এটা মনে করার কোনও কারণ নেই যে, এক লাফে চাহিদা তুঙ্গে চলে যাবে। সে জন্য কিছুটা সময় লাগবে। ’’
গয়না ব্যবসায়ীদের মতে, চাহিদা ছিলই। কিন্তু কিছু কারণে গয়না কেনার ব্যাপারে ক্রেতাদের মনে ভীতি তৈরি হয়েছিল। সেই কারণেই তাঁরা মুখ ফিরিয়ে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। বিক্রি কমে গিয়েছিল প্রায় ৫০ শতাংশ।
সুবীরবাবু বলেন, ‘‘দু’লক্ষ টাকার বেশি গয়না কেনার ক্ষেত্রে প্যান নথিভুক্ত করার নিয়ম আগেই চালু করেছিল কেন্দ্র। এতে চাহিদায় বড় রকমের কোপ পড়েনি। কিন্তু গত ২৩ অগস্ট ৫০ হাজার টাকার বেশি গয়না কেনার ক্ষেত্রে আধার কার্ডের তথ্য নথিভুক্ত করার যে নিয়ম সরকার চালু করে, তাতেই ক্রেতারা ভীত হয়ে পড়েছিলেন। ৬ অক্টোবর কেন্দ্র আধারের ভিত্তিতে ক্রেতাদের পরিচয় জানার ওই নিয়ম তুলে নেয়। গয়না ব্যবসায়ীদের দাবি, মূলত তাতেই স্বস্তি ফিরেছে বাজারে।