খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা বাড়লেও, পাইকারি বাজারে তা কিন্তু নেমেই চলেছে। সোমবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতেও পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার শূন্যের নীচে নেমেছে। হয়েছে (-)২.০৬%। এই নিয়ে টানা ৪ মাস তা শূন্যের নীচেই রইল। তবে আগে ফেব্রুয়ারির মতো এতটা তা নামেনি। ফলে এ দিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে ফের সুদ কমানোর আর্জি জানিয়েছে শিল্পমহল।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, পাইকারি বাজারে জ্বালানি, কল-কারখানায় উৎপাদিত পণ্য ও সব্জি, ফল, দুধের মতো কিছু খাদ্যসামগ্রী আরও সস্তা হওয়াতেই এতটা কমেছে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার। যদিও আশঙ্কা জিইয়ে রেখে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এ মাসে দেশের কিছু অংশে শুরু হওয়া অকালবর্ষণ শস্য উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে। তখন দাম বাড়বে খাদ্যপণ্যের। যার প্রভাব পড়বে মূল্যবৃদ্ধিতে। তাই আগে থাকতেই কেন্দ্রকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি এতটা নামায় ফের সুদ কমানোর পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছে শিল্প। অ্যাসোচ্যাম, ফিকি, সিআইআইয়ের মতো বণিকসভার কর্তারা একবাক্যে বলেন, মূল্যবৃদ্ধি এতটা কমার কারণ চাহিদায় ঘাটতি। তা মেটাতে সুদ কমানো এবং সহজে ঋণ পাওয়ার বন্দোবস্ত করাকেই এখন কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
অনেকের আবার দাবি, শীর্ষ ব্যাঙ্ক যতটা সুদ কমাচ্ছে, তার সুবিধা যেন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি লগ্নিকারী ও সাধারণ গ্রাহককের দেয়। সে ক্ষেত্রে সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছেই ঋণে সুদ কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার দরবার করেন তাঁরা। বস্তুত, এর আগে আরবিআই দু’দফায় মোট ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমালেও, বেশির ভাগ ব্যাঙ্কই ঋণে সুদের হার তেমন ভাবে কমায়নি।