—প্রতীকী চিত্র।
সরকারের গুদামে গত মাসে গমের মজুত নেমেছে ৭৫ লক্ষ টনে। যা ১৬ বছরের মধ্যে সব থেকে কম। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের ইঙ্গিত, ছ’বছর পরে ভারত ফের গম আমদানির পথ খুলতে পারে। যাতে সরকারি ভান্ডার ফের ভরে তোলা যায় এবং আগামী দিনে দেশের বাজারে দাম চড়লে তা নিয়ন্ত্রণের রাস্তা খোলা থাকে। উল্লেখ্য, ছ’বছর আগে গম আমদানিতে ৪০% কর বসিয়েছিল নয়াদিল্লি। সরকারি এবং আরও কিছু সূত্রের দাবি, সেই শুল্কই জুনের পরে তুলে নিতে পারে কেন্দ্র। যাতে বেসরকারি ব্যবসায়ী ও আটাকলগুলি রাশিয়ার মতো গম রফতানিকারীদের থেকে কিনতে পারে। তা ফের বসানো হতে পারে অক্টোবরের শুরুতে।
গত তিন বছর ধরে দেশে গম উৎপাদন ধাক্কা খেয়েছে। ফলে বাজারে জোগান কমায় চড়তে থাকে দাম। ভারতের একটি বড় অংশের প্রধান খাদ্য গমের আটার রুটি। ফলে তার মূল্যবৃদ্ধি বহু স্বল্প এবং সাধারণ রোজগেরে মানুষকে বিপাকে ফেলে। সরকার বাধ্য হয় রফতানি শুল্ক বসাতে। যাতে যতটুকু উৎপাদন হচ্ছে, তা দেশেই সরবরাহ করা হয় এবং দামে লাগাম রাখা যায়।
শুধু তা-ই নয়, বাজারে তার দামে রাশ টেনে রাখতে সরকার নিজের মজুত ভান্ডার থেকে ১ কোটি টনেরও বেশি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। যা নজিরবিহীন। মূলত আটাকল এবং বিস্কুট প্রস্তুতকারীদেরই তা বিক্রি করা হয়েছে। একাংশ ছাড়া হয়েছে খোলা বাজারেও। আর তার ফলেই মজুত ঠেকেছে তলানিতে। এ বার সেই মজুত বাড়াতেই মরিয়া তারা।