আপ্যায়ন: জি-২০ দেশগুলির অর্থমন্ত্রী ও শীর্ষ ব্যাঙ্ক গভর্নরদের বৈঠকের ফাঁকে মধ্যাহ্নভোজন। ছবি: পিটিআই।
করোনাকালে সঙ্কট সামলানোর খরচ জোগাড় করতে গিয়ে বিপুল ধারের বোঝা চেপেছে বহু দেশের ঘাড়ে। পায়ের তলার জমি পোক্ত করতে এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া বিশ্বের সামনে মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে জি-২০ দেশগুলির অর্থমন্ত্রী ও শীর্ষ ব্যাঙ্কের কর্তাদের সম্মেলনে তাই এই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে সকলকে এগিয়ে আসার ডাক দেন তিনি। একই মঞ্চ থেকে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির হাল আগের থেকে ভাল হলেও অনিশ্চয়তা কাটেনি। মন্দার আশঙ্কা নেই। তবে অর্থনীতি আরও শ্লথ হতে পারে।
দারিদ্র দূরীকরণ ও আর্থিক উন্নয়নের পথ আরও কঠিন হওয়ার কথাও মনে করান নির্মলা। প্রতিবন্ধকতা পেরোতে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতো প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী করতে বলেছেন। গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চেয়েছেন এর উপায়। স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণ ও জলবায়ূ বদলের সঙ্কট মেটাতে তহবিলের সংস্থানের আদর্শ নীতি কী হতে পারে, তোলেন সেই প্রশ্নও।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক এর আগে বলেছিল, সব চেয়ে গরিব দেশগুলির ঋণের বকেয়া সুদ ৬২০০ কোটি ডলার। যা এক বছরে বেড়েছে ৩৫%। ফলে ঋণের ফাঁদে জড়ানোর ঝুঁকি সর্বাধিক কম আয়ের দেশগুলির। মাঝারি রোজগেরেদেরও আশঙ্কা বহাল। জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে তাই উন্নয়নশীল দেশগুলির ঋণ মোকবিলার রাস্তা খোঁজায় জোর দিচ্ছেভারত। কেন্দ্রের মতে, না হলে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায় ডুবতে পারে। যা দারিদ্র বাড়াবে। এ দিন বিশ্ব বাণিজ্যের সমস্যার কথাও তুলেছেন শক্তিকান্ত। সকলের উন্নয়নে জোর দেন জি-২০ দেশগুলির পারস্পরিক সহযোগিতায়।