চ্যাংইয়ং রি।
চার বছরের সংস্কার পর্বের পরে ‘‘হাতি এ বার দৌড়তে প্রস্তুত’’— ভারত সম্পর্কে বিশ্বের লগ্নিকারীরা এটাই বলাবলি করছে, জানালেন আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের (আইএমএফ) এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের ডিরেক্টর চ্যাংইয়ং রি। তবে একই সঙ্গে কেন্দ্রকে তাঁর বার্তা, শুধু সিদ্ধান্ত নিলেই চলবে না। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সেগুলি কার্যকর করাও জরুরি। তিনি স্পষ্টই বলেন, ‘‘ভারতের অনেক ভাল পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু ততটা উন্নতি করতে পারেনি। এ দেশ সম্পর্কে বিদেশি লগ্নিকারীদের এটাই অন্যতম নালিশ।’’
পাশাপাশি অর্থনীতির উন্নতির রাস্তা মজবুত করতে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য আরও ভাল করার উপরেও জোর দিয়েছেন রি। অনুৎপাদক সম্পদের বিপুল বোঝা ও একের পর এক ব্যাঙ্ক প্রতারণার পরিপ্রেক্ষিতে যে ইঙ্গিত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আইএমএফ কর্তার মতে, কাজ করার জন্য জনসংখ্যা থেকে শুরু করে বিশাল বড় বাজার— আন্তর্জাতিক উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সব ক্ষমতা আছে এ দেশের। শুধু জোর দিতে হবে তা কার্যকর করায়। কারণ সেটাই মূল মন্ত্র, দাবি তাঁর।
আইএমএফের আর্থিক কমিটির সামনে ভারতের বৃদ্ধি সম্পর্কে আশার বার্তা দিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেলও। দাবি করেছেন, গত অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ভাগেই অনেক সমস্যা কাটিয়ে পরিষ্কার হতে শুরু করেছিল অর্থনীতির আকাশ। আশা, চলতি অর্থবর্ষে গতি আসবে বৃদ্ধিতে।
পটেলের দাবি, গত অর্থবর্ষের অনেকটা সময় অর্থনীতিকে বিঁধেছে বহু সমস্যার কাঁটা। কমতে দেখা গিয়েছে বৃদ্ধিও। তবু বছরের দ্বিতীয় ভাগে ছবিটা পাল্টাতে শুরু করে। যার কারণ হিসেবে গভর্নর তুলে ধরেছেন উৎপাদন শিল্পে গতি আসা, বিক্রি বৃদ্ধি, লগ্নির মাথা তোলা, পরিষেবা ক্ষেত্রে বাড়তে থাকা কর্মকাণ্ড, নজিরবিহীন কৃষিপণ্য উৎপাদন ইত্যাদিকে। রফতানি ও নতুন লগ্নির জেরে এই অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধি ৭.৪% ছুঁতে পারে বলেও তাঁর আশা।