চিনকে অনেক পিছনে ফেলে দ্রুততম বৃদ্ধির দেশের তকমা ফের ছিনিয়ে নিল ভারত। গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বৃদ্ধির হার পৌঁছল ৭.৭ শতাংশে। চোখে পড়ার মতো উন্নতি কৃষি (৪.৫%), কল-কারখানায় উৎপাদন (৯.১%) ও নির্মাণ শিল্পে (১১.৫%)।
তবে এ সবের পরেও গত অর্থবর্ষে ৭% বৃদ্ধির কক্ষপথে পৌঁছতে পারেনি ভারত। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে তা থমকে গেল ৬.৭ শতাংশে।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, চতুর্থ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির নিরিখে ভারত চিনকে (৬.৮%) পিছনে ফেলেছে ঠিকই। কিন্তু ছুঁতে পারেনি নিজেদের আগের অর্থবর্ষের বৃদ্ধিকেও (৭.১%)।
২০১৬ সালের নভেম্বরে নোটবন্দি ঘোষণার পরে ধাক্কা খেয়েছিল বৃদ্ধি। বিশেষত তার পরের দুই ত্রৈমাসিকে। তার পর থেকে সেই প্রভাব কাটিয়ে তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে ক্রমশ। যা দেখে অনেকে বলছেন, এ তো মসৃণ ভাবে চলা কোনও গাড়ির ইঞ্জিন বিগড়ে ফের তাকে চালু করার সমিল।
নোটবন্দির আগের ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি ছিল ৭.৪%। এ বার ৭.৭%। পুরো অর্থবর্ষে ৭ শতাংশের কম। তা-ও বিপুল সরকারি ব্যয়ের পরে। রাজকোষ ঘাটতি সামান্য বেশি হলেও, তা মেনে নিয়ে (৩.৫৩%)। নোটবন্দির পরে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছিলেন, আর্থিক বছরে ৭.৫ শতাংশে পৌঁছবে বৃদ্ধির হার। সেই ‘অচ্ছে দিন’ও রইল অধরা।