— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অতিমারিতে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছিল যে সব ক্ষেত্র, তার অন্যতম পর্যটন। পরবর্তী সময়ে চড়া মূল্যবৃদ্ধি সামলাতে একাংশের খরচে রাশ টানার জেরে কোপ পড়ে বেড়াতে যাওয়ায়। তবে সেই ছবিটা বদলানোর ইঙ্গিত দিল ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) পর্যটন উন্নয়ন সূচকে ভারতের অগ্রগতি। আগের বারের থেকে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় ১৫টি আসন এগিয়েছে দেশ। এই বছরে প্রকাশ করলেও, সূচকটি ২০২৩ সালের জন্য। ইউনিভার্সিটি অব সারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি করেছে ডব্লিউইএফ। এটি দ্বিবার্ষিক। এর আগে ২০২১-এর সূচকে ভারত ছিল ৫৪ নম্বরে। এ বারের স্থান ৩৯। মোট ১১৯টি দেশের পর্যটন ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাপকাঠি এবং নীতি নিয়ে সমীক্ষা হয়। তবে জানানো হয়েছে, মাপকাঠি বদলানোয় ক্রমতালিকাটি গত সমীক্ষার সঙ্গে তুলনীয় নয়।
পর্যটনে চড়া মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা লাগার কথাও অবশ্য উঠে এসেছে সমীক্ষায়। বলা হয়েছে, কম খরচে পরিষেবা দেওয়া কঠিন হয়েছে ভারতীয় পর্যটন সংস্থাগুলির। তাদের পাশাপাশি উড়ান সংস্থাগুলির পরিষেবাও এখনও পর্যন্ত ২০১৯-এর জায়গায় পৌঁছয়নি। ফলে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনায় স্থান এগোলেও, বিভিন্ন মাপকাঠিতে আদতে ২.১% নম্বর কম পেয়েছে ভারত।
সমীক্ষায় প্রকাশ, পর্যটনে উন্নতির জন্য যে বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলির নিরিখে বহু ক্ষেত্রেই প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে দেশ। যেমন, প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে পর্যটক টানার ক্ষেত্রে ভারতের স্থান ষষ্ঠ। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিরিখে নবম। পেশাগত কাজে (ব্যবসা, চিকিৎসা ইত্যাদি) সফররতদের ধরলেও নবম। এ ছাড়া দেশ ভ্রমণের খরচের দিক থেকে ১৮, উড়ান সংযোগে ২৬ আর বন্দর সংযোগে ২৫।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং আমেরিকায় ২০২৩-এ সামগ্রিক ভাবে পর্যটন বেড়েছে ৯০%। বিশেষত উঁচু আয়ের দেশগুলিতে প্রসার বেড়েছে এই ক্ষেত্রের। যার জেরে প্রথম পাঁচে রয়েছে আমেরিকা, স্পেন, জাপান, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়া। তার পরের পাঁচে যথাক্রমে জার্মানি, ব্রিটেন, চিন, ইটালি এবং সুইৎজ়ারল্যান্ড।