প্রতীকী ছবি।
শীত ফুরোনার পরে যখন ফের উৎপাদন শুরুর তোড়জোড় করছিল চা বাগানগুলি, ঠিক তখনই করোনা ভেস্তে দিল সব। উল্টে লকডাউনের জেরে মরসুমের গোড়ায় ‘ফার্স্ট ফ্লাশ’ চায়ের উৎপাদন ধাক্কা খাওয়ায়, দানা বাঁধল আর্থিক সঙ্কটের আশঙ্কা। এর মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য শর্তসাপেক্ষে বাগান খোলার কথা বললেও, চায়ের নিলাম বন্ধই। সূত্রের খবর, কলকাতা ও শিলিগুড়ি নিলাম কেন্দ্রে আটকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাগানের অন্তত ৩০ কোটি টাকার চা। বাগানগুলির আর্থিক সমস্যা কমাতে তাই রাজ্যের কাছে শর্ত ও সতর্কতা মেনে নিলাম চালুর আর্জি জানিয়েছে তারা।
শিল্পের দাবি, চা উৎপাদন নগদ নির্ভর। বাগান বন্ধের কারণে সেই নগদের জোগানে টান পড়ছে। এখন অর্ধেক শ্রমিক নিয়ে পাতা তোলা, চা তৈরি-সহ কিছু কাজে সায় দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেই চা নিলাম কেন্দ্র বা খোলা বাজারে না-পৌঁছলে বাগানের আয় হবে না। তার উপরে মে মাসের আগে ভাল পাতা মিলবে না। ফলে মরসুমের প্রথম চা বেচে টাকা পেতে সময় লাগবে। এই অবস্থায় নিলাম কেন্দ্রের চা বিক্রি হলে নগদ সমস্যা কিছুটা অন্তত মিটবে।
সূত্রের খবর, কলকাতা ও শিলিগুড়ি নিলাম কেন্দ্র মিলিয়ে প্রায় ২৩ লক্ষ কেজি চা নিলামের জন্য তৈরি। কেজিতে গড় দাম ১৫০ টাকা ধরলে যার ব্যবসার সম্ভাবনা অন্তত ৩০ কোটি টাকা। কোচিন, গুয়াহাটির মতো নিলাম কেন্দ্রগুলিকে ইতিমধ্যেই নিলামের অনুমতি দিয়েছে সেখানকার রাজ্য সরকার, জানাচ্ছেন চা শিল্পের কর্তারা। সতর্কতা মেনে এ রাজ্যেও তাই সেই পথে এগোতে চান তাঁরা। দাবি, নিলাম পর্ব চলে বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে। ফলে নিলামে অংশ নিলেও চা কেনা যাবে কেন্দ্রে না-এসেও। ফলে কম লোকেই তা সম্ভব।