—ফাইল চিত্র
ব্যবসার সঙ্কট যুঝতে দেশের প্রায় প্রতিটি বিমান সংস্থাই যখন হয় বেতন কম দেওয়ার কথা বলছে, নয়তো বেতনহীন ছুটিতে পাঠাচ্ছে কর্মীদের একাংশকে, তখন এই পথে হাঁটার ঘোষণা করেও পিছিয়ে গেল ইন্ডিগো। সংস্থার সিইও রণজয় দত্ত কর্মীদের জানিয়েছেন, গত মাসে উচ্চপদস্থদের এপ্রিলের বেতন ছাঁটার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা, তা ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কারণ, সেটি সরকারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।
করোনার আবহে সংস্থাগুলিকে কর্মী বা তাঁদের বেতন ছাঁটাই করতে বারণ করছে সরকার। রণজয় মেলে কর্মীদের বলেছেন, ‘‘কেন্দ্র চায় না বেতন কমানো হোক, তাই সিদ্ধান্ত ফেরানো হল। এগ্জ়িকিউটিভ কমিটির সদস্য ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টরা স্বেচ্ছায় কম বেতন নিচ্ছেন। তবে বাকিরা এপ্রিলের পুুরো বেতন পাওয়ার আশা করতে পারেন।’’
তবে আশঙ্কা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলির সংগঠন আইএটিএ বলেছে, অতিমারির ধাক্কা লাগতে পারে ভারতীয় বিমান শিল্প ও তার উপরে নির্ভরশীল ক্ষেত্রের প্রায় ২৯ লক্ষ কাজে। সংস্থাগুলি হারাতে পারে ৮৫,০০০ কোটি টাকার ব্যবসা।এ দিকে, বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীকে চিঠি দিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া কর্মী সংগঠনগুলির আর্জি, ১০% বেতন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত ফেরানো হোক উল্লেখ্য, গো-এয়ার বেশির ভাগ কর্মীকে বেতনহীন ছুটিতে পাঠিয়েছে। বিস্তারা ছ’দিন পর্যন্ত বাধ্যতামূলক বেতনহীন ছুটিতে পাঠিয়েছে উচ্চপদস্থ কর্মীদের। উঁচু পদের কর্মীদের বেতন ২০% পর্যন্ত কমিয়েছে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া। স্পাইসজেট মাঝারি এবং উঁচু স্তরের ক্ষেত্রে তা কমিয়েছে ১০%-৩০%। ইন্ডিগো কর্তার অবশ্য দাবি, ব্যবসা এতটাই মার খাচ্ছে যে, খরচে রাশ টানাই এখন পাখির চোখ।