—প্রতীকী ছবি।
দেশে বাড়ছে প্রবীণ মানুষের সংখ্যা। কিন্তু তাঁদের অনেককেই সুরক্ষিত জীবন যাপনের ভরসা দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষত স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে। এডিবি-র সমীক্ষায় ফের স্পষ্ট হল এই অভিযোগ। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বয়স্কদের স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম পিছিয়ে পড়া দেশ ভারত। সেখানে ইঙ্গিত, এই অঞ্চলে তাঁদের বড় অংশের পেনশনের মতো নিশ্চিত আয় নেই। ফলে চিকিৎসার খরচ বওয়াই কঠিন। ফলে বয়সের ভারে নুয়ে পড়তে পড়তেও অনেককে কাজে ছুটতে হয়।
সমীক্ষা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, মানুষের আয়ু যখন বাড়ছে, তখন স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা প্রসারিত না করলে বয়স্ক মানুষদের কাজে লাগানো যাবে না। আর উল্টোটা হলে জিডিপি বৃদ্ধিতে অংশ নিতে পারবেন তাঁরা। এডিবির রিপোর্টে দাবি, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইল্যান্ডে দেশের সকলে স্বাস্থ্য বিমার আওতায়। কিন্তু ভারত-সহ এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলি তার ধারেকাছে নেই। ভারতে প্রবীণদেরই মাত্র ২১% সেই সুবিধা পান।
ন্যাশনাল ইনশিয়োরেন্সের প্রাক্তন ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ প্রধান বলেন, ‘‘এডিবি ঠিক কথা বলেছে। চিকিৎসার ক্রমবর্ধমান খরচ চিন্তার বিষয়। প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বিশেষ বিমা প্রকল্প আনা জরুরি। জাপানের মতো নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করতে হবে কেন্দ্রকে।’’ সম্প্রতি ভারতের বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ স্বাস্থ্য বিমা কেনার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিয়েছে। প্রধান বলেন, এটা ভাল। কিন্তু বিমার প্রিমিয়াম বয়স্কদের সাধ্যের মধ্যে না রাখা গেলে এতে লাভ হবে না। শ্রম আইনেও বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য বিমা থাকা দরকার।
তবে বিমা বিশেষজ্ঞ এন বাঞ্চুর-এর মতে, ‘‘দক্ষিণ কোরিয়া বা তাইল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের তুলনা ঠিক নয়। এ দেশ অনেক বড়। সকলকে বিমার সুরক্ষার আওতায় আনতে সময় লাগবে। আগামী ২০৪৭-এ লক্ষ্য পূরণ হতে পারে।’’