প্রতীকী ছবি।
বিয়ের মরসুম চলছে দেশে। আর তারই মধ্যে লাফিয়ে বাড়ছে সোনা, রুপোর দাম। শনিবার একলপ্তে ৮০০ টাকার বেশি উঠে জিএসটি ছাড়াই ১০ গ্রাম পাকা সোনা হয়েছে ৫৩,১০০ টাকা। কর যোগ করে বাজারে দাম সাড়ে ৫৪,০০০ টাকার বেশি। হলুদ ধাতুর আগুন দর দেখে যাঁরা রুপোর দিকে তাকিয়েছিলেন, তাঁদের অনেককেও শেষ পর্যন্ত মুখ ফেরাতে হয়েছে। রাতারাতি ১২০০ টাকা বেড়ে ৭১,০০০ টাকা পেরিয়েছে ১ কেজি রুপোর বার। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এর ফলে গয়নার দামও বাড়ছে। বিয়ের জন্য দোকানে কিনতে গিয়ে বহু মানুষের রক্তচাপ বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা টেনে নামাচ্ছে শেয়ার বাজারকে। অনেকেই তাই আঁকড়ে ধরছেন সোনা। ফলে বাড়ছে চাহিদা। যে কারণে বেশ কিছু দিন ধরেই তার দাম চড়ছে। তার উপর যোগ হয়েছে জোগানে ঘাটতির আশঙ্কা। কারণ সোনার অন্যতম উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া, যাদের ঘাড়ে এখন আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলির আর্থিক নিষেধাজ্ঞা। সোনা দামি হওয়ার জন্য ডলারের নিরিখে টাকার দামের পতনকেও দায়ী করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে এক ডলার পেরিয়েছে ৭৬ টাকা, যা প্রায় এক বছরে সর্বোচ্চ।
স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে বলেন, যুদ্ধের ফলে বিশ্ব বাজারে সোনার দাম প্রায় রোজ বাড়ছে। এ দিন ছিল আউন্সে ১৯৭২ ডলারের বেশি। তাঁর কথায়, ‘‘দেশে সোনার দামের গতি ঠিক হয় বিশ্ব বাজারের উপরে নির্ভর করে। তার উপরে সম্প্রতি ডলারের দাম বেড়েছে। যা সোনার দাম বৃদ্ধিতে রসদ জোগাচ্ছে। কারণ, দেশে চাহিদার অনেকটাই আমদানি করতে হয়। ডলার বাড়লে টাকা লাগে বেশি।’’
যুদ্ধের বাজারে সুরক্ষিত সোনায় লগ্নি দাম বাড়াবে এটাই জানাই ছিল, দাবি পাকা সোনার (বুলিয়ন) ব্যবসায়ী জেজে গোল্ডের ডিরেক্টর হর্ষদ আজমেরার। তিনি বলেন, “যে কোনও অনিশ্চিত পরিবেশেই এমন হয়। কারণ, বেশির ভাগ লগ্নিকারী তখন সোনা চান। দীর্ঘ মেয়াদে লাভের পথে ফেরেন। মনে করেন লগ্নির অন্য ক্ষেত্রগুলির তুলনায় সোনাই নিরাপদ। এখন সেটাই হচ্ছে। শেয়ার বাজার পড়লেও টানা বাড়ছে সোনার দাম।’’