প্রতীকী ছবি
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের তৃতীয় দফার দাওয়াইয়ের ঝুলিতে ঠাঁই পেয়েছে আবাসন শিল্প। ফ্ল্যাট-বাড়ি তৈরি ও বিক্রি বাড়াতে ক্রেতা-বিক্রেতা, দু’পক্ষকেই আয়কর ছাড়ের সুবিধা দিয়েছেন তিনি। সে জন্য কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করেছেন প্রথমবার কেনাবেচার সময় সেগুলির দাম হিসেবের শর্ত। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (শহরাঞ্চলে) আগে বরাদ্দ ৮০০০ কোটি টাকার পরে আরও ১৮,০০০ কোটি টাকা মঞ্জুরও করেছেন।
মোটের উপর খুশি আবাসন শিল্প বলছে, খানিকটা হলেও চাহিদা বাড়বে এতে। হিল্লে হবে কিছু অবিক্রীত এবং অসম্পূর্ণ ফ্ল্যাটের। তবে চাকা ঘোরার জন্য শুধু এটুকু যথেষ্ট নয় বলে বার্তা একাংশের। বিশেষত করছাড়ের সুবিধা শুধু ২ কোটি টাকা পর্যন্ত দামের আবাসনে দেওয়ায় অসন্তুষ্ট তাঁরা। অনেকে আবার বলছেন আগে এলাকার ভিত্তিতে নতুন ফ্ল্যাট-বাড়ির আর্থিক মূল্যায়ন (সার্কেল রেট) কমাতে হবে রাজ্যগুলিকে। তবে এই সুবিধা কাজে লাগবে।
দীর্ঘ আর্থিক ঝিমুনির পরে করোনা— দুইয়ের ঘায়ে আবাসনের চাহিদা যেমন শুকিয়েছে, তেমনই ব্যবসা থমকে যাওয়ায় বহু ডেভেলপারের নগদ ফুরিয়েছে। এ দিন নির্মলার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে আবাসন শিল্পের সংগঠন ক্রেডাইয়ের চেয়ারম্যান (জাতীয়) জে শাহ-র বক্তব্য, ‘‘অবিক্রীত ফ্ল্যাটের বিক্রি কিছুটা বাড়বে হয়তো। যে ডেভেলপারদের নগদের টানাটানি, তাঁরা কর ছাড়ের সুযোগ নিয়ে ফ্ল্যাটের বিক্রি বাড়াতে দাম কমাতে পারেন। তবে সার্বিক ভাবে দাম কমবে না।’’
উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারক রিসার্চের হিসেব, কলকাতা-সহ সাতটি বড় শহরে ২.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দামের সাত লক্ষ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়নি। সংস্থার চেয়ারম্যান অনুজ পুরী ও আয়কর বিশেষজ্ঞ নারায়ণ জৈনের মতে, নতুন ব্যবস্থায় ক্রেতা এবং ডেভেলপারের কর কমলে ফ্ল্যাট বিক্রি হতে পারে। একমত রাজ্যে ক্রেডাইয়ের দুই কর্তা সুশীল মোহতা ও নন্দু বেলানিও। তবে তাঁদের দাবি, বাণিজ্যিক প্রকল্প বা জমিতেও এই সুবিধা দরকার। শুধু ২ কোটি টাকার আবাসনে সুবিধা দেওয়া নিয়েও আপত্তি আছে শাহ, বেলানির।
তবে আগে সার্কেল রেট-এর পুনর্মূল্যায়নের দাবি তুলেছেন সুশীল ও নন্দু। জৈন বলেন, হালে ফ্ল্যাটের দাম কমেছে। কিন্তু প্রতিটি রাজ্যেই সম্পত্তি রেজিস্ট্রি দফতরের ধার্য সার্কেল রেট সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির থেকে বেশি। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে, বলছেন সুশীল। সকলেরই বক্তব্য, তা কমাক রাজ্যগুলি।