—প্রতীকী ছবি।
বর্জ্য থেকে জৈব গ্যাস তৈরিতে জোর দিচ্ছে ভারত। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা তা উৎপাদনের জন্য দেশ জুড়ে কেন্দ্র (বায়ো গ্যাস প্লান্ট) গড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে সেই দৌড়ে শামিল কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল এবং রাজ্যের গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশনের যৌথ সংস্থা বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানিও (বিজিসি)। কলকাতা এবং সংলগ্ন কয়েকটি জেলায় বিভিন্ন পুরসভার বর্জ্য ফেলার জায়গায় বা আশপাশে সেগুলি গড়বে তারা। আপাতত তিনটি এমন কেন্দ্র গড়তে সংস্থাটি খরচ করবে ১০০ কোটি টাকারও বেশি। ওই গ্যাস থেকে গাড়ির জ্বালানি হিসাবে সিএনজি এবং রান্নার গ্যাস (পাইপে দিলে পিএনজি) উৎপাদন করা হবে।
দূষণ ও জ্বালানি আমদানির খরচ কমাতে গ্যাস ভিত্তিক বিকল্প জ্বালানিতে জোর দিচ্ছে সরকার। গেল-এর হাত ধরে প্রাকৃতিক গ্যাসের জোগান বাড়ছে। আমদানি হচ্ছে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস। বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে জৈব গ্যাসের উৎপাদন এবং ব্যবহার। যা তৈরি হয় কঠিন বর্জ্য, কৃষি বর্জ্য এবং গোবর থেকে।
রাজ্যের নানা এলাকায় গেল-এর জোগানো প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে সিএনজি-পিএনজি বণ্টনের ভারপ্রাপ্ত সংস্থাগুলির একটি বিজিসি। তাদের আওতায় কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি। সেখানে পুরসভাগুলির জমিতে জৈব গ্যাস কেন্দ্র গড়া নিয়ে শুক্রবার রাজ্যের নগরোন্নয়ন ও পুর দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজিসি-র কর্তারা। সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তিনটি কেন্দ্র গড়তে আগামী অর্থবর্ষে ১২০ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য। তবে সেগুলি চালাতে সমস্ত বর্জ্যের থেকে গ্যাস উৎপাদনে প্রয়োজনীয় বর্জ্যগুলিকে আলাদা করা জরুরি।’’ পুরসভার কাছে তাই কেন্দ্র তৈরির জমির সঙ্গে বর্জ্য জোগানের নিশ্চয়তাও চেয়েছেন তাঁরা।