তেলের জোগানে অস্থিরতা বিশ্ব জুড়ে

বিশ্বের তেলের বাজার নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) সাম্প্রতিক রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, নানা কারণে তেলের জোগানে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

প্যারিস ও দুবাই শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৯ ০৪:০৭
Share:

তেল রফতানিকারীদের সংগঠন ওপেক এবং তাদের সহযোগী দেশগুলি উৎপাদন কমিয়েছে আগেই। ইরানের তেলে ভারত-সহ আট দেশকে দেওয়া ছাড় তুলেছে আমেরিকা। ফলে ইতিমধ্যেই বিশ্বে অশোধিত তেলের জোগানে টান পড়েছে। আর এ বার তেলের জোগানে অস্থিরতা আরও বাড়ার ইঙ্গিত দিল চলতি সপ্তাহে সৌদি আরবের দু’টি তেলবাহী জাহাজ ও দু’টি পাম্পিং স্টেশনে ড্রোন হামলা।

Advertisement

এই হামলার জেরে তাদের ইস্ট-ওয়েস্ট পাইপলাইন কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল সৌদি অ্যারামকো। ফল হিসেবে ইতিমধ্যেই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। এশিয়ার বিভিন্ন তেল আমদানিকারী দেশের আশঙ্কা, জাহাজে তেল আনার বিমার খরচও বাড়তে পারে।

বিশ্বের তেলের বাজার নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) সাম্প্রতিক রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, নানা কারণে তেলের জোগানে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যা তেল উৎপাদনকারী দেশগুলিকে দাম বাড়িয়ে রাখতে সাহায্য করবে। আইইএ জানিয়েছে, এপ্রিলে ইরানের অশোধিত তেলের উৎপাদন প্রতি দিন ২৬ লক্ষ ব্যারেল করে কমেছে। গত পাঁচ বছরে যা সর্বনিম্ন। চলতি মাসেও উৎপাদন আরও ধাক্কা খেতে পারে।

Advertisement

সৌদি আরবের তেলমন্ত্রী খালিদ আল-ফলিহ্‌ অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁদের পাইপলাইন সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকলেও তাতে তেল উৎপাদন ও রফতানি বন্ধ হবে না। তাঁর দাবি, এই ধরনের হামলা শুধু তাঁদের দেশকেই লক্ষ্য করা হয়েছে তা নয়, বিশ্বে তেলের জোগান ও অর্থনীতির সুরক্ষার উপরও আক্রমণ।

এমনিতেই ইরানের তেল আমদানি নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বিভিন্ন দেশে চাহিদার সঙ্গে জোগানের ফারাক দেখা দিয়েছে। চিনের পরেই ইরানের তেলের দ্বিতীয় ক্রেতা ভারত। ভারতের শোধনাগারগুলিও অন্য দেশ থেকে তেল আমদানির কথা চালাচ্ছে। সব মিলিয়ে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে তার দামেও। আর এ বার তাতে ইন্ধন জোগাল তেলের জাহাজে হামলাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement