সেবি নোটিস পাঠানোর পাঁচ দিনের মাথায় এমডি-সিইও চন্দা কোছরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। এ বার আর অভ্যন্তরীণ নয়, একেবারে স্বাধীন এবং বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পরিচালন পর্ষদ। স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠলেও অতীতে কর্ণধারের পাশেই দাঁড়িয়েছিল ব্যাঙ্কটি।
ভিডিয়োকন গোষ্ঠীকে ঋণ মঞ্জুর সংক্রান্ত বিতর্কে ২৫ এপ্রিল চন্দাকে নোটিস পাঠিয়েছিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। তখনও তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, সেই নোটিসের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে। কিন্তু মঙ্গলবারই পর্ষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, জনৈক অভিযোগকারীর (হুইসল ব্লোয়ার) অভিযোগের তদন্ত করানো হবে। বুধবার তা সেবিকে জানিয়ে বলা হয়, ‘‘এক জন স্বাধীন এবং বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে তদন্ত হবে। খতিয়ে দেখা হবে যাবতীয় অভিযোগ।’’ ‘বিশ্বাসযোগ্য’ সেই ব্যক্তিকে নিয়োগ ও তদন্তের সময় বেঁধে দিতে ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের অডিট কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
স্বামী দীপক কোছর ও তাঁর পরিবারের কয়েক জন সদস্যকে কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে ভিডিয়োকনের কর্ণধার বেণুগোপাল ধুতকে ঋণ মঞ্জুরের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চন্দার বিরুদ্ধে। আইসিআইসিআই-সহ বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের জোট ২০১২ সালে ভিডিয়োকন গোষ্ঠীকে ৩,২৫০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে। পরে সেই ঋণের বড় অংশ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়। অভিযোগ, ওই ঋণ মঞ্জুর করার পরেই দীপকের সংস্থায় ৬৪ কোটি টাকা লগ্নি করেছিলেন ধুত।