কেন্দ্রের দাবি, পরিকাঠামোয় লগ্নি বাড়ছে ভারতে। ২০২৫ সালেই তা ছোঁবে বছরে ৩৪ লক্ষ কোটি টাকা (৫০ হাজার কোটি ডলার)। আর তার হাত ধরে তৈরি হবে কয়েক লক্ষ চাকরি। অথচ আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংসের সমীক্ষায় ধরা পড়েছে দুশ্চিন্তার ছবি। সেখানে বলা হয়েছে, এ দেশে পরিকাঠামোর ঘাটতি ‘অত্যন্ত বেশি’। এতটাই যে, এই ক্ষেত্রের চাহিদা ও জোগানের ফারাক ঘোচা এখনও দূর অস্ত্।
অবশ্য ভারত যে পরিকাঠামো উন্নয়নের পথে হাঁটছে, সে কথা মানা হয়েছে ওই রিপোর্টে। প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে বিদ্যুৎ ঘাটতি কমা, বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি ও ধীরে ধীরে তার কমতে থাকা মাসুল, বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড় বাড়া ও দেশ জুড়ে বড় মাপের মেট্রো রেল প্রকল্প রূপায়ণের উদ্যোগকে। তা সত্ত্বেও রেটিং সংস্থাটির বিশ্লেষক অভিষেক ডাংরার দাবি, ‘‘ভারতে পরিকাঠামোর ঘাটতি এতটাই বেশি যে, অল্প সময়ের মধ্যে তা পূরণ করা কঠিন। কারণ পরিকাঠামো তৈরিতে সময়ের দরকার। আর অন্য অনেক দেশের তুলনায় এ দেশে সম্ভবত সেই সময়ও লাগে অনেকটা বেশি।’’
প্রকল্প রূপায়ণে ঝুঁকির দিকটিও দেখিয়েছে সমীক্ষা। তালিকায় জমি অধিগ্রহণের জটিল প্রক্রিয়া বা পরিবেশ ছাড়পত্রের সমস্যা যেমন রয়েছে, তেমনই আছে নির্মাণে দেরি হওয়া ও তার জেরে খরচ বাড়ার বিড়ম্বনা। তাদের মতে, এ সবের পাশাপাশি পরিকাঠামো তৈরির পথে ঝুঁকি বাড়াতে পারে টাকার দামে পতন, সুদ বৃদ্ধি। লোকসভা ভোটের দামামা বেজে যাওয়ায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনিশ্চয়তাও এতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।