চড়া হটেলের দাম। ছবি আইসিসি।
ক্রিকেট জ্বরের ‘ভাইরাস’ ছড়াচ্ছে দেশে। যে সব শহরে বিশ্বকাপের খেলা
হবে, সেখানে হোটেল, ‘হোম স্টে’-র চাহিদা লাফিয়ে বাড়ছে। হোটেল, পর্যটন-সহ আতিথেয়তা শিল্পের দাবি, ক্রিকেট অনুরাগীদের ঘর ‘বুক’ করার হিড়িক পড়েছে। ফলে চড়ছে তার ভাড়াও। বিশেষত ভারতের খেলাগুলি যেখানে হবে। বিশ্বকাপের মরসুমে ভর
করে তাই বাড়তি ব্যবসার আশায় তারা। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, কলকাতায় ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য থেকে তো হোটেল বুকিং হচ্ছেই। বাংলাদেশ থেকেও বহু মানুষ আসছেন।
কোভিডে কাটিয়ে হোটেল-পর্যটন সংস্থাগুলি ঘুরে দাঁড়ানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছে। তাতেই এ বার জ্বালানি বিশ্বকাপ। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স একটি সেমিফাইনাল-সহ পাঁচটি খেলার আয়োজক। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড
ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে হবে। প্রথম খেলা ২৮ অক্টোবর। হোটেল শিল্পের দুই সংগঠন এফএইচআরএআই এবং এইচআরএইআইয়ের প্রেসিডেন্ট সুদেশ পোদ্দার বৃহস্পতিবার জানান,
‘‘পুজো উপলক্ষে এখানকার হোটেল দিন দশেক বেশি ব্যবসা করে। তা বিশ্বকাপের জন্য বাড়বে। পুজোর পরেও চাহিদা থাকার আশা।’’ তাঁরা বলছেন, ভারতের খেলার দিনে শহর হোটেলের গড় ভাড়া ১৫০% বেড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পাঁচ গুণ। পর্যটক ছাড়া খেলোয়াড়, ক্রীড়া জগতের ব্যক্তি, আয়োজনে জড়িত কর্মী, ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের জন্যও বুকিং হচ্ছে।
এইচআরএইআইয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি তথা ইডেনের অদূরেই এক হোটেলের কর্ণধার সন্দীপ সেহগাল জানান, পড়শি রাজ্যগুলি থেকে দু’তিন দিনের জন্য হোটেলের ঘর নেওয়া হচ্ছে। পর্যটন শিল্পের সংগঠন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন টুর অপারেটর্সের এ রাজ্যের চেয়ারম্যান দেবজিৎ দত্তের দাবি, খেলার সূচি ঘোষণার দিন থেকে কয়েক গুণ বেড়েছে হোটেলের চাহিদা।