বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাইক আনল হার্লে-ডেভিডসন। বিশ্ব বাজারে যার দাম ১.৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম ১২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। গত ৯ মে জুরিখে এক অনুষ্ঠানে ব্লু-এডিশনকে প্রকাশ্যে আনল সংস্থা।
এত দিন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাইক হওয়ার রেকর্ড ছিল ১৯৫১ ভিনসেন্ট ব্ল্যাক লাইটনিং-এর দখলে। এ বছরের গোড়ায় নিলামে বাইকটির দাম ওঠে ৯ লক্ষ ২৯ হাজার ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি টাকা। নিলামে ওঠা দরের কারণেই এই বাইকটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাইকের তকমা পায়।
হার্লে-ডেভিডসনের ব্লু-এডিশন ভার্সন এই বাইক। নাম দেওয়া হয়েছে ‘সফ্টটেল স্লিম এস’। সুইত্জারল্যান্ডের বিখ্যাত গয়না ও ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘বুশারার’ এবং বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘বান্ডানারবাইক’-এর যৌথ উদ্যোগে বাইকটি তৈরি করা হয়েছে।
দুই সংস্থার মোট আট জন বিশেষজ্ঞ এক বছর ধরে ২৫০০ ঘণ্টা নানা গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাইকটির ডিজাইন তৈরি করেছেন।
গাড়িটি সাজাতে ৩৬০টি হিরে ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকে যে স্ক্রুগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো সবই সোনার।
ছ’টি স্তরে রঙের কোটিং দেওয়া হয়েছে বাইকটিতে। কিন্তু সেই কোটিং টেকনিকটা কী, সেটা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি প্রস্তুতকারক সংস্থা।
এত দিন পর্যন্ত হার্লে-ডেভিডসনের যত মডেল বেরিয়েছে কোনওটিতেই ঘড়ি ছিল না। কিন্তু ব্লু-এডিশনের অন্যতম একটি বিশেষত্ব হচ্ছে, এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের ডান পাশে একটি ঘড়ি লাগানো হয়েছে।
ফুয়েল ট্যাঙ্কের ডান পাশে ৫.৪ ক্যারাটের ডায়মন্ড রিং লাগানো হয়েছে। ফুয়েল ট্যাঙ্কের এক পাশে ঘড়ি এবং অন্য পাশে হিরেখচিত রিং এবং তার থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসা আলো গাড়ির শোভা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
গাড়ির ইঞ্জিনের কম্পন থেকে ঘড়িকে বাঁচাতে ট্যাঙ্কের উপর একটি বিশেষ খাঁচা তৈরি করা হয়েছে। ঘড়িটিকে ধরে রাখার জন্য সিলিকন রিং দিয়ে বিশেষ হোল্ডার তৈরি করা হয়েছে। বাইকটি অনেক দিন না চালালেও ঘড়িটি বন্ধ হবে না, কেননা ওই হোল্ডারটি ঘড়িটিকে সচল রাখবে।