Hajmola GST

ক্যান্ডি না আয়ুর্বেদিক পণ্য, দু’য়ের জাঁতাকলে জিএসটি বিতর্কে ফেঁসে হজমোলা

হজমোলায় জিএসটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এটি ক্যান্ডি না আয়ুর্বেদিক পণ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:২৯
Share:
Representative Picture

—প্রতীকী ছবি।

হজমোলায় পণ্য ও পরিষেবা করে (গুড্‌স অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি) জটিলতা। ক্যান্ডি না আয়ুর্বেদিক পণ্য, কোন শ্রেণিতে একে ফেলা হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। উল্লেখ্য, ক্যান্ডিতে বর্তমানে ১৮ শতাংশ কর ধার্য করেছে জিএসটি কাউন্সিল। অন্য দিকে আয়ুর্বেদিক পণ্যে সরকার নেয় ১২ শতাংশ কর।

Advertisement

হজমোলার কর নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় সম্প্রতি এর প্রস্তুতকারী সংস্থা ডাবরকে চিঠি পাঠান জিএসটি কাউন্সিলের গোয়েন্দা শাখার অধিকর্তা (ডিরেক্টর জেনারেল অফ গুড্‌স অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স ইনটেলিজেন্স বা ডিজিজিআই)। সূত্রের খবর, জবাবে ডাবর জানিয়েছে, হজমোলা মোটেই ক্যান্ডি নয়। এটি একটি আয়ুর্বেদিক পণ্য। কারণ, চিনি ফুটিয়ে এটিকে তৈরি করা হয়নি।

কিন্তু হজমোলার প্রস্ততকারী সংস্থার এই উত্তরে সন্তুষ্ট নয় ডিজিজিআই। ফলে সরকার এবং ডাবরের মধ্যে এই বিষয়ে বিরোধ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

Advertisement

এর আগে হজমোলাকে নিয়ে হওয়া একটি মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ রায় দেয় আদালত। সেখানে ডাবরের এই পণ্যকে আয়ুর্বেদিক শ্রেণিভুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়। ডিজিজিআইকে দেওয়া জবাবে তারই প্রতিধ্বনি করেছেন ডাবর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে সূক্ষ্ম সীমারেখার উল্লেখ করে এতে ১৮ শতাংশ কর নেওয়ার পক্ষপাতী জিএসটি কাউন্সিল।

সরকারের যুক্তি, ক্যান্ডির মতো হজমোলায় চিনি ব্যবহার না হলেও অন্যান্য যে উপকরণ লাগছে, তাতে একে আয়ুর্বেদিক পণ্যের শ্রেণিতে রাখা অনুচিত। খোলাবাজারে ক্যান্ডি হিসাবেই এটিকে বিক্রি করা হচ্ছে। বিষয়টিকে কতকটা দুধ এবং ক্রিমের বিবাদের সঙ্গে এক করে দেখার চেষ্টা করছেন জিএসটির কর্তাব্যক্তিরা, খবর সূত্রের।

২০২৩ সালের নভেম্বরের একটি মামলায় স্বাদযুক্ত দুধে পাঁচ শতাংশ জিএসটি থাকা উচিত বলে মন্তব্য করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। দুধ এবং ক্রিমের শ্রেণিতে থাকায় এর থেকে ১২ শতাংশ কর নিয়ে থাকে সরকার। মিশ্র মশলা ও মশলা এবং হিমায়িত পরোটা এবং রুটির জিএসটি শ্রেণি বিভাজন নিয়েও একই ধরনের বিতর্ক রয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত হজমোলার ব্যাপারে কোনও বিবৃতি দেয়নি সরকার বা ডাবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement