লোকসভা ভোটের দামামা বাজতে খুব বেশি আর দেরি নেই। এ অবস্থায় ফের একবার পণ্য পরিষেবা কর বা জিএসটি-র কাঠামো বদল করল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নয়া জিএসটি কাঠামো চালু হচ্ছে। তাতে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসের দাম কমতে যাচ্ছে। আবার করের আওতা থেকে বাদও যাচ্ছে কিছু পণ্য। কী কী জিনিসের দাম কমছে? আর দাম অপরিবর্তিত-ই বা থাকছে কোনগুলির? দেখে নিন এক নজরে।
টেলিভিশন ও কম্পিউটার: ৩২ ইঞ্চি পর্যন্ত টেলিভিশন ও কম্পিউটার মনিটরের উপর থেকে জিএসটি-র হার কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। এত দিন তা ২৮ শতাংশ ছিল।
সিনেমার টিকিট: মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখার খরচ কিছুটা কমতে চলেছে। ১০০ টাকা পর্যন্ত টিকিটে এতদিন ১৮ শতাংশ জিএসটি বসত। তা কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। ১০০ টাকার বেশি দামের টিকিটে জিএসটি-র হার ২৮ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে।
ভিডিয়ো গেমস ও ক্যামেরা: নতুন বছরে দাম কমছে ভিডিয়ো গেমসের সরঞ্জাম এবং ডিজিটাল ক্যামেরার। সেগুলির উপর এতদিন ২৮ শতাংশ জিএসটি বসত। নতুন বছরে তা ১৮ শতাংশ হবে।
হুইল চেয়ার: শারীরিক ভাবে অক্ষমদের জন্য হুইল চেয়ারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এত দিন তাতে ২৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হত। এ বার থেকে দিতে হবে মাত্র ৫ শতাংশ।
তীর্থযাত্রা: প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ হজ, বৈষ্ণোদেবী এবং কেদারনাথ যাত্রা করেন। তার জন্য বিশেষ বিমানেরও ব্যবস্থা থাকে। বিমানে ইকনমিক ক্লাসের টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে এ বার থেকে ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। বিজনেস ক্লাসের ক্ষেত্রে দিতে হবে ১২ শতাংশ। এতদিন তা ২৮ শতাংশ ছিল।
জন ধন যোজনা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন ধন যোজনার আওতায় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। নয়া জিএসটি ব্যবস্থায় তাঁদের করের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
বিলাসপণ্য: কিছু জিনিসের দাম অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেগুলি হল, এয়ার কন্ডিশনার, ডিশ ওয়াশার, গাড়ির যন্ত্রাংশ, সিমেন্ট, পান মশলা, কোল্ড ড্রিঙ্ক এবং তামাকজাত দ্রব্য। আগের মতোই নতুন বছরে সেগুলির উপর ২৮ শতাংশ কর বসবে।
অন্যান্য: ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে শাক-সবজি কিনতে গেলে এতদিন ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হত। এ বার থেকে আর কোনও কর দিতে হবে না। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি দিয়ে তৈরি মোবাইলের পাওয়ার ব্যাঙ্ক, পুরনো রবারের টায়ার, কপিকল ইত্যাদির দামও কমছে।