প্রতীকী ছবি।
দু’মাস উত্থানের পর জিএসটি সংগ্রহ ফের মাথা নামাল।
ফেব্রুয়ারিতে ১.৩৩ লক্ষ কোটি এবং মার্চে ১.৪২ লক্ষ কোটির পর এপ্রিলে ১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল জিএসটি সংগ্রহ। যা সর্বকালীন রেকর্ড। কিন্তু মে মাসে ফের তা ফিরে এল ১.৪১ লক্ষ কোটির কাছাকাছি। ফলে বাজারের চাহিদা এবং অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে কিছুটা সংশয় থেকেই গেল। বিশেষ করে যখন উঁচু মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে খরচাপাতি কমানোর একটা প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের মে মাসের (৯৭,৮২১ কোটি টাকা) তুলনায় গত মাসে পরোক্ষ কর সংগ্রহ ৪৪% বেড়েছে। তবে মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের ব্যাখ্যা, এক বছর আগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরূপ প্রভাব পড়েছিল কর সংগ্রহের উপর। এ দফার উন্নতির হিসাব কষা হয়েছে সেই নিচু ভিতের নিরিখে।
তবে কেন্দ্রের বক্তব্য, এপ্রিলে জিএসটি সংগ্রহ হয় অর্থবর্ষের শেষ মাস, অর্থাৎ, মার্চের জিএসটি রিটার্নের উপর ভিত্তি করে। ফলে সেই সংগ্রহ সাধারণত ভালই হয়। আর মে মাসের সংগ্রহ হয় অর্থবর্ষের প্রথম মাসে এপ্রিলের রিটার্নের ভিত্তিতে। যা এমনিতেই কম হওয়ার কথা। সেই যুক্তিতে গত মাসে জিএসটি সংগ্রহ সন্তোষজনক হয়েছে এবং তা অর্থনীতির ধারাবাহিক উন্নতির লক্ষণ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।