অবশেষে পিছু হটার পালা।
ভারতের শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা রাখতে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার উপর ম্যাট বসানো থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার জানাল কেন্দ্র। ফলে ওই সব সংস্থার পুরনো মূলধনী লাভের উপর ন্যূনতম বিকল্প কর বা ম্যাট বসছে না। এর জন্য আয়কর আইন সংশোধন করবে কেন্দ্র, যা কার্যকর হবে ২০০১ সালের ১ এপ্রিল থেকে। চলতি ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে কোনও দিনই ম্যাট বসানো হয়নি। যে-সব সংস্থা এই সুবিধা পাবে, সেগুলি হল:
• যারা ভারতে নথিভুক্ত নয় এবং এ দেশে যাদের কোনও স্থায়ী দফতর নেই।
• যারা নিজেদের দেশে কর মেটায় বলে দ্বৈত কর বাতিল চুক্তির আওতাভুক্ত
অর্থ মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, যারা এই চুক্তির মধ্যে নেই, তারাও ম্যাটে ছাড় নিতে পারবে, যদি তারা ১৯৫৬ সালের কোম্পানি আইনের ৫৯২ ধারা অনুযায়ী কিংবা ২০১৩ সালের কোম্পানি আইনের ৩৮০ ধারা অনুযায়ী ভারতে নথিভুক্তি নিতে বাধ্য না-থাকে।
এর জেরে কার্যত সব বিদেশি লগ্নি সংস্থাই ম্যাটের বাইরে চলে আসবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। তার কারণ, বাদবাকি আর্থিক সংস্থার সংখ্যা নামমাত্র।
প্রসঙ্গত, গত ১ সেপ্টেম্বরই ম্যাট তুলে নেওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দেয় কেন্দ্র। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নিযুক্ত এ পি শাহ কমিটিও সেই সুপারিশই করেছিল। ৯০-এর দশকে প্রথম ম্যাট চালু করার প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। আগে কোনও কর না-বসা পুরনো মূলধনী লাভে ন্যূনতম বিকল্প কর দেওয়ার কথা সেখানে বলা হয়। সাধারণত ২০ শতাংশ হারে ম্যাট বসানোর কথা হলেও কোনও দিনই তা আদায়ের চেষ্টা করেনি কোনও সরকার। গত বছর আয়কর দফতর এ নিয়ে বিদেশি সংস্থাগুলিকে নোটিস পাঠাতে শুরু করলে বাজার হু হু করে পড়তে থাকে। শঙ্কিত বিদেশি লগ্নিকারীরা ভারতের বাজারে বিপুল পরিমাণে শেয়ার বেচতে শুরু করেন। বাধ্য হয়েই ম্যাট নিয়ে পিছু হটার ইঙ্গিত দেয় কেন্দ্র, যার জেরে শেয পর্যন্ত আজকের এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের ২৫ শতাংশ শেয়ারই বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলির হাতে।