প্রতীকী ছবি।
দূষণ কমাতে গাড়িতে ভারত স্টেজ-৬ মাপকাঠি চালু করা, বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারে জোর দেওয়ার সঙ্গেই পুরনো গাড়ি বাতিলের নীতি আনতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। বাজেটে সেই ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেছেন, পুরনো গাড়ি বাতিল করে নতুন কিনলে আর্থিক সুবিধা দেওয়া এবং আর তা না-করলে দূষণ কর বসানোর কথা। এ বার গডকড়ীর মন্ত্রক খসড়া প্রস্তাবে জানাল, ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে ১৫ বছর বা তার বেশি পুরনো সরকারি গাড়ির আর রেজিস্ট্রেশন হবে না। অর্থাৎ, ওই সময়সীমা শেষে পাকাপাকি ভাবে বাতিল হবে সেগুলি। ৩০ দিনের মধ্যে বিভিন্ন পক্ষকে এ নিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। তার পরেই আসবে চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি।
বায়ু দূষণ ছাড়াও অতিমারির আগে থেকে মন্দার কবলে পড়া গাড়ি শিল্পের চাহিদা বাড়ানোও গাড়ি বাতিলের ভাবনার অন্যতম কারণ। কিন্তু শুধু সরকারি গাড়ি বাতিলের উদ্যোগ তাতে কতটা সাহায্য করবে? শনিবার গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের একাংশের দাবি, এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু এমন ক’টি গাড়ি সরকারি সংস্থায় চলে তার হিসেব স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি রাজকোষেও টান পড়েছে। এই অবস্থায় সমস্ত মন্ত্রক, দফতর এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কতগুলি গাড়ি শেষ পর্যন্ত কিনবে তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন।
শিল্পের দাবি, কেন্দ্র গাড়ি বাতিল নিয়ে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন প্রস্তাবের কথা বলছে। ফলে পরিকল্পনাটি কী এবং কী ভাবে তা কার্যকর হবে, তা না জেনে মতামত দেওয়া সম্ভব নয়।