—প্রতীকী ছবি।
মোবাইলে আসা ব্যবসায়িক সংস্থার অযাচিত এবং অবাঞ্ছিত প্রচারমূলক কল ও বার্তা নিয়ে বহু দিন ধরেই ক্ষুব্ধ মানুষ। অভিযোগ, 'ডু নট ডিস্টার্ব' (ডিএনডি) পরিষেবা নেওয়ার পরেও এমন এসএমএসে ভরে যায় মোবাইলের মেসেজ বক্স। যখন- তখন এই ধরনের ফোনও আসে। ইচ্ছে না থাকলেও ধরতে হয়, আর ধরার পরে বোঝা যায় বিজ্ঞাপনী প্রচার। এর আড়ালে বেশ কিছু প্রতারণার অভিযোগও উঠেছে। এই সব কল-বার্তা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতর প্রকাশ করল একটি খসড়া নির্দেশিকা। সেটি তাদের ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে। আমজনতা মতামত জানাতে বা পরামর্শ দিতে পারবেন। ২১ জুলাই পর্যন্ত এই সুযোগ খোলা।
খসড়ায় সেই সব ব্যবসায়িক কল বা বার্তাকে অবাঞ্ছিত চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে, যেগুলি-
* গ্রাহকের সম্মতি নিয়ে বা পছন্দ অনুযায়ী করা হয়নি।
* টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই বা কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর ডট-এর নির্দেশ মেনে বিজ্ঞাপনী প্রচার বোঝানোর বিশেষ নম্বর বা এসএমএস শিরোনাম (হেডার) ব্যবহার করা হয়নি। অনথিভুক্ত নম্বর থেকে ফোন করে বা অস্বীকৃত এসএমএস হেডার ব্যবহার করে যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে।
* গ্রাহকের অনুরোধ বা 'ডিএনডি' করে সেগুলি আটকানোর নির্দেশ সত্ত্বেও বার বার যোগাযোগ করা হচ্ছে। কোন সংস্থা কল করছে বা বার্তা পাঠাচ্ছে এবং তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। ফোন না ধরা বা বার্তা খারিজের স্পষ্ট সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না।
এই নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে আলোচনার পরে। সরকারি বিবৃতিতে দাবি, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ডট, ট্রাই, বিএসএনএল, মোবাইল শিল্পের সংগঠন সিওএআই, ভোডাফোন আইডিয়া, রিলায়্যান্স, এয়ারটেলের প্রতিনিধিদের নিয়ে হয়েছিল কমিটি। সেটির সুপারিশ খতিয়ে দেখেছে দফতর। খসড়া নির্দেশিকা সেই সমস্ত ব্যক্তি এবং সংস্থার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যারা গ্রাহকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁকে কল বা মেসেজ করছে শুধু নিজেদের সুবিধার জন্য। নথিবদ্ধ টেলি-বিপণন সংস্থাগুলির প্রচার আটকাতে ট্রাই ২০১৮-এ 'ডিএনডি' এনেছিল। কিন্তু অনথিভুক্তগুলিকে এই জালে আটকানো যাচ্ছে না। নিরবচ্ছিন্ন কল করা হচ্ছে ১০টি সংখ্যার ব্যক্তিগত নম্বর দিয়ে। তাতে লাগাম পরানোই লক্ষ্য কেন্দ্রের।