ফাইল চিত্র।
বেসরকারি সংস্থার হাতে নিলাম মারফত কয়লা খনি তুলে দেওয়ার ব্যাপারে অনুমতি দিল কেন্দ্র। যা চার দশকে কয়লা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় মাপের সংস্কার বলে তকমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। লক্ষ্য দেশে উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানিতে রাশ টানা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোল ইন্ডিয়ার একচেটিয়া আধিপত্য কমানো। কয়লা মন্ত্রক জানিয়েছে, মূলত পূর্বাঞ্চলেই যেহেতু বেশির ভাগ কয়লা খনি রয়েছে, তাই বেসরকারি সংস্থাকে খনি নিলাম হলে বাড়তি আর্থিক সুবিধা পাবে ওই সব রাজ্যই। বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা বিক্রি করতে পারবে বেসরকারি সংস্থা।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি নিলামের মাধ্যমে কয়লা খনি যে কোনও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। প্রতি টন কয়লার জন্য যে সংস্থা সবচেয়ে বেশি দর দেবে, তার হাতেই খনি তুলে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এত দিন শুধু সিমেন্ট, ইস্পাত, বিদ্যুৎ ও অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কয়লা তুলতে পারত বেসরকারি সংস্থা। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খননের একচেটিয়া অধিকার ছিল কোল ইন্ডিয়ার হাতে। বাজারের ৮০ শতাংশই এই মুহূর্তে তাদের দখলে।
দু’বছর আগেই কয়লা ক্ষেত্রে এই ঢালাও সংস্কারের ইঙ্গিত দেয় কেন্দ্র। গয়াল বলেন, ‘‘বেসরকারি সংস্থার জন্য কয়লা খনির দরজা খোলা ১৯৭৩ সালে খনি জাতীয়করণের পরে এই শিল্পে সবচেয়ে বড় সংস্কার। এর জেরে প্রতিযোগিতা ও দক্ষতা বাড়বে।’’ প্রতিযোগিতার হাত ধরে উঁচু মানের প্রযুক্তিও আসবে বলে দাবি গয়ালের। তার জেরে খনি এলাকায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। ফলে ওই সব অঞ্চলে আর্থিক উন্নয়ন হবে বলে দাবি মন্ত্রীর।
কেন্দ্রের এ দিনের সিদ্ধান্তে অবশ্য আপত্তি জানিয়েছে বিভিন্ন কর্মী ইউনিয়ন। যার মধ্যে রয়েছে বিজেপি সমর্থিত বিএমএস, বামপন্থী সিটু ও কংগ্রেসের আইএনটিইউসি।