—প্রতীকী চিত্র।
চলতি মাসে বাজারে আসবে নতুন গম। দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলিকে পাইকারি বাজারে তা স্থানীয় কৃষকদের থেকে কিনতে বারণ করল কেন্দ্র। তারা সরকারি ভাবে কোনও নিষেধাজ্ঞা বা নির্দেশ জারি করেনি বটে। তবে বলেছে, কেন্দ্রীয় খাদ্য নিগমের (এফসিআই) গমের ভান্ডার তলানি ছুঁয়েছে। সেই ঘাটতি পূরণ করতে সরকার নতুন কৃষি মরসুমে চাষিদের কাছ থেকে গম কিনতে নামবে। সম্ভবত এই মাসেই। তাদের কাজে যাতে বাধা না পড়ে, তাই বেসরকারি ব্যবসায়ীদের অন্তত এপ্রিলে ওই পথ এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সামনে লোকসভা নির্বাচন। এই সময়ে গমের দাম বৃদ্ধি আটকাতে কার্যত মরিয়া মোদী সরকার। দামে রাশ টানতে তারা গম রফতানি বন্ধ করেছে আগেই। একই কারণে সরকারি মজুত থেকেও কম দামে বাজারে বিক্রি করেছে। তাতেই শেষ হতে বসেছে ভান্ডার। ফের তা না ভরলে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে বলেই এই বাড়তি সতর্কতা।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ২০০৭ সালের পরে বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য সরকারের এমন বার্তা এই প্রথম। এমনকি রেল কর্তৃপক্ষকেও বলা হয়েছে গম বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বড় ব্যবসায়ীদের যেন ওয়াগন না দেওয়া হয়। শিল্পমহলের মতে, এই বার্তা নির্দেশ আকারে সরকারি ভাবে না-দেওয়া হলেও তা অমান্য করা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, পাইকারি বাজার থেকে গমের মতো কৃষি পণ্য কেনে হিন্দুস্তান লিভার, আইটিসি, কার্গিল আইএনসি, লুইড্রেফাস, ওলাম গ্রুপ-সহ অনেকে।
কেন্দ্রের এই বার্তায় ক্ষুব্ধ গম ব্যবসায়ীরা। কলকাতার কৃষিপণ্য ব্যবসার সংস্থা বেঙ্গানি গ্রুপের সিএমডি বিমল বেঙ্গানি বলেন, ‘‘এতে আমরা চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছি। গম ভিত্তিক পণ্য বিক্রেতা বহু সংস্থাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার সম্ভবত আইনি ভাবে এমন কথা বলতে পারে না। সেই জন্যই হয়তো সরকারি ভাবে নির্দেশ জারি হয়নি।’’ উত্তরপ্রদেশের জেইউবি অ্যাগ্রোপ্রডাক্টসের সঙ্গে যুক্ত নিখিল সিঙ্ঘির দাবি, ‘‘ব্যবসায়ীদের রেলের ওয়াগান না দিয়ে হাত-পা বেঁধে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে ব্যবসার খুব ক্ষতি হচ্ছে।’’