বিয়ের মরসুমে সমস্যায় পড়েছেন ক্রেতারা। ফাইল চিত্র।
রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের উত্তেজনা ইতিমধ্যেই শেয়ার বাজারকে নড়বড়ে করেছে। সেই সঙ্গে লগ্নি নিয়ে সন্ত্রস্ত করেছে বিনিয়োগকারীদের। ফলে ফের চাহিদা বেড়েছে সুরক্ষিত লগ্নি সোনার। পাকা সোনার (১০ গ্রাম) দাম ১০ দিন ধরে রয়েছে ৫০,০০০ টাকার উপরে।
আর তারই ধাক্কায় দামি হয়েছে গয়না।
বিয়ের মরসুমে সমস্যায় পড়েছেন ক্রেতারা। রাজ্যের স্বর্ণশিল্প মহলের দাবি, শহরের দোকানে ক্রেতা এখনও আসছেন। কিন্তু গ্রাম-মফস্সল ভুগতে শুরু করেছে। এই বিয়ের মরসুমে বিক্রি অনেকটা বাড়ার আশা ছিল। কিন্তু তা পূরণ হওয়া নিয়ে বাড়ছে সংশয়।
বনগাঁর গয়না ব্যবসায়ী বিনয় সিংহ বলছেন, “বাজার খুব খারাপ। দাম দেখে ক্রেতারা হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন। বিয়ের মতো অনুষ্ঠানের জন্য যাঁদের না-কিনলেই নয়, শুধু তাঁরাই আসছেন।’’ উত্তর কলকাতায় গয়নার পাইকারি বিক্রেতা চিত্তরঞ্জন পাঁজা বলেন, “গত দশ দিনে জেলার খুচরো গয়না ব্যবসায়ীদের পাইকারি কেনাকাটা কমেছে। গ্রাম-মফস্সলের দোকানগুলিতে চাহিদা নেই।’’ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির ধাক্কা খাওয়া, চড়া বেকারত্ব, কিছু দিন আগের বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি ইত্যাদিকেও গয়নার চাহিদা কমার কারণ হিসেবে তুলে ধরছেন তাঁরা।
সোমবার ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে রাশিয়া আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় রাজি হওয়ায় পাকা সোনার দাম সামান্য কমলেও ৫০,০০০ টাকার নীচে
নামেনি। কলকাতায় বিক্রি হয়েছে (জিএসটি বাদে) ৫০,৫০০ টাকায়। গত দশ দিনে বেড়েছে ১৫০০ টাকা। তবে তার প্রভাব গ্রাম ও শহরে আলাদা। জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আশিস পেথে বলেন, “দাম বাড়লেও চাহিদায় এখনও ভাটা পড়েনি। আরও দামি হওয়ার আশঙ্কায় কিনতে আসছেন অনেকে।’’ স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি সমর দে, অঙ্কুরহাটি জেম অ্যান্ড জুয়েলারি পার্কের চেয়ারম্যান অশোক বেঙ্গানির দাবি, বিয়ের মরসুম। তাই ক্রেতা মিলছে ভালই।