—প্রতীকী চিত্র।
আসন্ন অন্তর্বর্তী বাজেটে সোনা, কাটা ও পালিশ করার হিরের উপরে আমদানি শুল্ক কমানো-সহ একাধিক সুবিধা দাবি করল সংশ্লিষ্ট শিল্পের রফতানিকারীদের সংগঠন জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল (জিজেইপিসি)। বিশ্ব বাজারে ভারতের স্বর্ণ শিল্পকে প্রতিযোগিতায় এগোনোয় সাহায্য করতে এই পদক্ষেপ জরুরি বলে জানিয়েছে তারা।
ভারতের দামি পাথর এবং গয়না শিল্প কাঁচামালের জন্য আমদানির উপরে নির্ভরশীল। বিদেশ থেকে ওই সব পণ্য এনে এখানে তা কাটা ও পালিশ করে এবং গয়না তৈরির পরে ফের রফতানি করা হয়। জিজেইপিসি-র দাবি, দামি ধাতুর ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশের বদলে ৪% আমদানি শুল্ক চাপুক। কাটা ও পালিশ করা হিরের ক্ষেত্রে তা ৫% থেকে কমে হোক ২.৫%। সংগঠনের মতে, শুল্ক না কমলে রফতানি ধাক্কা খাবে। বরাত কমার প্রভাব পড়বে কাজের বাজারেও। সব মিলিয়ে চিন, তাইল্যান্ডের মতো দেশের কাছে বাজার হারাবে ভারত।
সেই সঙ্গে মূলত হিরে শিল্পের কথা ভেবে বেশ কিছু সুবিধাও দাবি করেছে তারা। যার মধ্যে রয়েছে ইম্পরেস্ট লাইসেন্স ফের চালু করা। এতে ছোট সংস্থাগুলির সুবিধা হবে এবং বড়দের সঙ্গে তারা পাল্লা দিতে পারবে বলে ধারণা। যার হাত ধরে হিরে শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ তৈরির আশাও করছে সংগঠনটি। পাশাপাশি, স্পেশাল নোটিফায়েড জ়োন মারফত না কাটা হিরে বিক্রির সুবিধা দেওয়া-সহ একগুচ্ছ দাবিও জানিয়েছে তারা।
সংগঠনের চেয়ারম্যান বিপুল শাহের মতে, এই সব সুবিধা পেলে ছোট শিল্পের কাছে কাঁচামাল পৌঁছবে এবং বর্তমান চড়া দামের কারণে শিল্প যে ভাবে ধাক্কা খাচ্ছে, তা-ও কিছুটা মোকাবিলা করতে পারবে তারা।