নেটের জন্য লগ্নির সওয়াল, শিল্পের প্রশ্ন টাকা কই

কথা বলার তুলনায় এখন মোবাইল ফোনে নেট মারফত তথ্য আদানপ্রদানেই ঝোঁক বেশি গ্রাহকদের। যে কারণে ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে ডেটার ব্যবহার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯ ০১:৫১
Share:

কথা বলার তুলনায় এখন মোবাইল ফোনে নেট মারফত তথ্য আদানপ্রদানেই ঝোঁক বেশি গ্রাহকদের। যে কারণে ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে ডেটার ব্যবহার। ইন্ধন জুগিয়েছে সস্তার মাসুল। বণিকসভা অ্যসোচ্যাম ও উপদেষ্টা সংস্থা পিডব্লিউসি-র যৌথ সমীক্ষাও বলছে, সেই ব্যবহার ২০২২ সালের মধ্যে বছরে বাড়বে ৭২% হারে। দ্রুত গতির নেট পরিষেবা দিয়ে সেই চাহিদা মেটাতে তাই তার পরিকাঠামোয় বড়সড় লগ্নির পক্ষে সওয়াল করেছে তারা। তবে চাহিদার কথা মানলেও, এই লগ্নি নিয়ে সংশয়ী টেলিকম সংস্থাগুলি। যার কারণ তাদের ঘাড়ে চেপে থাকা বিপুল ঋণ ও মোবাইল পরিষেবায় সস্তার মাসুল হার।

Advertisement

সমীক্ষা বলছে, ২০১৭ সালে দেশে ৭,১৬,৭১০ কোটি এমবি ডেটা খরচ করেছিলেন গ্রাহকেরা। যা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ১০,৯৬,৫৮৭ কোটি এমবি। অথচ ২০১৩ সালে মোবাইল ব্যবহারকারীরা কথা বলার জন্য মাসে গড়ে ২১৪ টাকা খরচ করলেও, ২০১৬ সালে তা নেমে আসে ১২৪ টাকায়। কিন্ত ডেটার খরচ ১৭৩ টাকা থেকে বেড়ে হয় ২২৫ টাকা। রিপোর্ট বলছে, স্মার্ট ফোনের ব্যবহারও।

ডেটার এই চাহিদার প্রেক্ষিতেই দ্রুত গতির ও নিরবচ্ছিন্ন নেট পরিষেবার পক্ষে স‌ওয়াল করেছে সমীক্ষা। যুক্তি, দেশের ৬৫-৭০ শতাংশ মানুষের বাস গ্রামীণ এলাকায়। সেখানে এই পরিষেবার বাজার ধরতে পরিকাঠামোয় উন্নতি ছাড়া গতি নেই। আর সে জন্য জরুরি লগ্নি। তা না হলে সংস্থাগুলি সেই সম্ভাবনাময় বাজার ধরার সুযোগ হারাবে।

Advertisement

উল্টো দিকে, টেলি শিল্পের দাবি বিশ্বে ভারতেই মোবাইল পরিষেবার খরচ সব থেকে কম। যে মাসুল হারে ব্যবসা চালাতে গিয়ে আয় কমায় রীতিমতো বেকায়দায় তারা। তার উপর ধারে ডুবেছে প্রায় সকলেই। সঙ্কট যুঝতে বাধ্য হয়ে লাইসেন্স ফি-সহ বিভিন্ন খাতে খরচ কমাতে বারবার আর্জি জানাচ্ছে কেন্দ্রের কাছে। সেই কারণেই চাহিদাকে উপেক্ষা করতে না পারলেও, এই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে পরিকাঠামো সম্প্রসারণ ও নতুন পরিকাঠামো তৈরি কোন পথে হবে, তা নিয়ে সংশয়ে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement