ফাইল চিত্র।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) এমডি-সিইও পদে শনিবার বিক্রম লিমায়ের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেই মেয়াদ যে আর তিনি বাড়াতে চান না, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন লিমায়ে। ফলে বিতর্ক জর্জরিত শেয়ার বাজারটিতে আপাতত কোনও শীর্ষ পদাধিকারী থাকছেন না। সূত্রের খবর, ওই পদে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের আগে পর্যন্ত একটি কমিটি এক্সচেঞ্জটির রোজকার কাজ পরিচালনা করবে। সোমবার তা ঘোষণা হতে পারে।
২০১৩ সালের জুলাইয়ে চিত্রা রামকৃষ্ণের পরে এনএসই-র কর্ণধার হন লিমায়ে। তার আগেই শেয়ার বাজারটির বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণ বিধি ভাঙা, পরিচালন ব্যবস্থার সমস্যা-সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। তার পরে যোগ হয়েছে কো-লোকেশন পরিকাঠামোর মাধ্যমে কিছু মধ্যস্থতাকারী সংস্থাকে বেআইনি ভাবে লেনদেনের তথ্য সরবরাহ করে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ। তদন্তে নেমে প্রাক্তন এমডি-সিইও চিত্রা, রবি নারাইন-সহ কয়েকজনকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরই মধ্যে তদন্তকারী সংস্থাগুলি দাবি করেছে, এনএসই-র কর্মীদের ফোনে আড়ি পেতে তথ্য সংগ্রহের জন্য মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডের সংস্থাকে কাজে লাগিয়েছিলেন চিত্রা এবং নারাইন। এই ডামাডোলে সংস্থার নিজেদের প্রথম শেয়ার (আইপিও) ছাড়ার পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছে এনএসই। এই ধরনের একের পর এক ঝড়-ঝাপটার মধ্যে এক্সচেঞ্জ সামাল দিতে হয়েছে লিমায়েকে। তাঁর দাবি, ‘কঠিন সময়ে’ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে এক্সচেঞ্জকে শক্তিশালী করতে তিনি নিজের সেরাটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছেন।
এ দিন লিমায়ে বলেন, ‘‘আজ এমডি-সিইও পদে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করলাম। কঠিন সময়ে প্রতিষ্ঠানটিকে থিতু ও শক্তিশালী করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি। পরিচালন ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রণ বিধি, প্রযুক্তি, ঝুঁকি সামলানো এবং ব্যবসার উন্নতির ক্ষেত্রে আমরা অনেকটা এগোতে পেরেছি।’’ উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এনএসই-র আয় ছিল ৮৫০০ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে যা ২৬৮১ কোটি ছিল। ওই সময়ের মধ্যে মুনাফাও ১২১৯ কোটি থেকে বেড়ে ৪৪০০ কোটি হয়েছে। গত ৪ মার্চ পরবর্তী এমডি-সিইও নির্বাচনের জন্য আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এনএসই। আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা গত ২৫ মার্চ শেষ হয়েছে। এত দিন পার হয়ে গেলেও কেন শীর্ষ পদের যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা গেল না, সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে।