একজোট হল দুই নজরদারি সংস্থা।
সেবি-র সঙ্গে সোমবার মিশে গেল পণ্য বাজারের নিয়ন্ত্রক ফরোয়ার্ড মার্কেটস কমিশন (এফএমসি)। শেয়ার ও মূলধনী বাজার নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া বা সেবি বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে এ বার থেকে আগাম পণ্য লেনদেনের নিয়ন্ত্রণও নিজের হাতে নেবে বলে এ দিন জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। আগাম পণ্য লেনদেনের বাজারে সম্প্রতি দাম মেটানোর সঙ্কটের কারণে ঘটা ৫৭০০ কোটি টাকার স্পট এক্সচেঞ্জ কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতেই লগ্নিকারীদের স্বার্থরক্ষায় দু’টি নিয়ন্ত্রককে দ্রুত এক ছাতার তলায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র।
পণ্য বাজারে লগ্নিকারীদের আস্থা ফিরে পাওয়াকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে এ দিন জানান সেবি চেয়ারম্যান ইউ কে সিন্হা। পাশাপাশি, তিনি বলেন, এই বাজারকে চাঙ্গা করতে বিদেশি আর্থিক সংস্থার লগ্নির জন্য দরজা খুলে দেওয়া হবে। বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে ব্যাঙ্ককেও। তবে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এ ধরনের কেলেঙ্কারি এড়ানোই সেবি-র লক্ষ্য হবে বলে দাবি সিন্হার। তাই আগাম পণ্য লেনদেনের বাজারে দামের ওঠা-পড়ায় কড়া নজর রাখবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এফএমসি-র আওতায় থাকা ন্যাশনাল স্পট এক্সচেঞ্জে তছরুপ কাণ্ড প্রথম নজরে আসে ২০১৩ সালে। গত বছরই এর জেরে অভিযুক্ত ১১ জনকে দফায় দফায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন এই কেলেঙ্কারির নায়ক জিজ্ঞেশ শাহ। চার্জশিটে জানানো হয়, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কিছু অসাধু ব্রোকারের যোগসাজশে কী ভাবে তৈরি হয় দাম মেটানোর ওই সঙ্কট। এর পর থেকেই পণ্য বাজারের রাশও সেবি-র হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। জেটলি এ দিন বলেন, ‘‘দু’টি বাজারের মধ্যে যথেষ্ট মিল। আমার ধারণা সেবি এই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।’’
এই প্রথম ভারতে জোট বাঁধল দু’টি নিয়ন্ত্রক। উল্লেখ্য, এফএমসি তৈরি হয় ১৯৫৩ সালে, সেবি ১৯৮৮-তে। ১৯৯২ সালে স্বশাসন পায় সেবি। এ বার দু’টি নিয়ন্ত্রকের জন্য একই নিয়ম খাটবে বলে জানান সেবি-কর্তা।