পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি দিলেন না। কিন্তু জিএসটি-র সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর উদ্বেগ দূর করতে সোমবার অন্তত আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
গত সপ্তাহে রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে জিএসটি-র সংবিধান সংশোধনী বিল। কংগ্রেসের দাবি মানতে গিয়ে সেখানে কিছু বদল করা হয়েছে। বিল পাশ হওয়ার পরে তা নিয়েই আপত্তি তুলে জেটলিকে চিঠি লেখেন অমিতবাবু। তাঁর অভিযোগ, পরিবর্তিত বিলে সংযু্ক্ত বা ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি-তে (আইজিএসটি) যে কর ছাড় ব্যবসায়ীরা নেবেন না, সেই অর্থ কেন্দ্র রাজ্যগুলির সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাইছে না। উল্লেখ্য, পণ্য তৈরি ও কেনা-বেচা একাধিক রাজ্যে হলে, বসবে আইজিএসটি।
অমিতবাবু জিএসটি নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির চেয়ারম্যান। সে কথা উল্লেখ করে তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিএসটি-তে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। রাজ্যের অর্থমন্ত্রীও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। কেন্দ্রের উচিত সহযোগিতা করা। পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছি।’’
জেটলি গত সপ্তাহেই লোকসভায় জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের ঋণ মকুব করা কেন্দ্রের পক্ষে অসম্ভব। তা সত্ত্বেও আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়ে আসছে তৃণমূল। এ দিন এর সঙ্গে অমিত মিত্রের আপত্তির কথাও তোলেন কল্যাণবাবু।
জেটলি আর্থিক সহায়তার দাবি এড়ালেও বলেন, ‘‘বিলের খসড়ায় কিছু ভুল থাকায় ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি।’’ অমিতবাবুর পাশাপাশি কেরলের অর্থমন্ত্রী আইজ্যাক টমাসও একই আপত্তি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন জেটলিকে। দু’জনেরই বক্তব্য, কেন্দ্র যে আইজিএসটি আদায় করবে, তা কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে ভাগ হবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা কর ছাড় না-নিলে, সেই টাকাও যেন রাজ্যগুলির মধ্যে ভাগ হয়।