নগদের অভাবে সংস্থা ডুবতে পারে আঁচ করেও কেন সতর্ক হননি, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে আইএল অ্যান্ড এফএসের প্রাক্তন শীর্ষ কর্তাদের ভূমিকা। এ বার অদক্ষ পরিচালনা ও তহবিল সরানোর অভিযোগে সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিসের (এসএফআইও) আতসকাচের তলায় এল গোষ্ঠীর পাঁচ সংস্থা।
গোষ্ঠীর মোট আয়ের প্রায় ৫০% আসে সংস্থাগুলির হাত ধরে। সরকারি সূত্রে দাবি, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের অধীন এসএফআইও-র প্রাথমিক তদন্তে কিছু তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। যা দেখে ৩০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পে তহবিল সরানো নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে তাদের বিরুদ্ধে।
গত কয়েক বছর ধরে আইএল অ্যান্ড এফএসের অডিটের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলির কাছে নোটিস পাঠিয়ে ব্যাখ্যা তলব করেছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়াও।
সম্প্রতি আর্থিক সঙ্কটে জেরবার আইএল অ্যান্ড এফএসের পর্ষদে সরকার মনোনীত প্রতিনিধি বসিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার নব নিযুক্ত চেয়্যারম্যান উদয় কোটাক কর্পোরেট বিষয়ক সচিবের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন। সূত্রের দাবি, নয়া পর্ষদ সমস্যা সমাধানের নানা পথ খতিয়ে দেখছে।
কেন্দ্রের অভিযোগ, সংস্থা তাদের আর্থিক অবস্থা বাড়িয়ে দেখিয়েছিল। প্রায় ২০,০০০ কোটি টাকার এমন সম্পদের কথা বলেছিল, যা তাদের ছিল না। দেখানো মোট আয়ের ৫০% সংস্থার ঝুলিতেই আসেইনি।