Moody's Rating

ঋণে আশঙ্কা, বৃদ্ধির অনুমান ছাঁটল মুডি’জ়

মুডি’জ় ইনভেস্টর্স সার্ভিসের অ্যাসোসিয়েট এমডি জেনে ফ্যাং-এর মতে, গত অর্থবর্ষে দেশে জিডিপি-র সাপেক্ষে ঋণের হার ছিল ৮১.৮%। তার উপর পরের বছর লোকসভা নির্বাচন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ ০৯:১৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সাম্প্রতিক ঋণনীতিতে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) ৮% হারে দেশের জিডিপি বাড়বে বলে পূর্বাভাস রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের। কিন্তু এখনই অর্থনীতি নিয়ে এতটা আশাবাদী হতে নারাজ মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ়। তাঁদের মতে, চিন্তা থাকছে সরকারের ঋণ নিয়ে। রাজকোষ ঘাটতিও ৮১ শতাংশের বেশি। ফলে এপ্রিল-জুনে বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৬-৬.৩ শতাংশ।

Advertisement

মুডি’জ় ইনভেস্টর্স সার্ভিসের অ্যাসোসিয়েট এমডি জেনে ফ্যাং-এর মতে, গত অর্থবর্ষে দেশে জিডিপি-র সাপেক্ষে ঋণের হার ছিল ৮১.৮%। তার উপর পরের বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দীর্ঘ মেয়াদি লক্ষ্যের বদলে চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং অস্থির বিশ্ব বাজারের মধ্যে দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনীতির পালে হাওয়া দেওয়ার পথে হাঁটবে মোদী সরকার। যে কারণে তাদের আয় কমে ঘাটতি মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা।

উপরন্তু ‘BBA-’ মূল্যায়ন থাকা দেশগুলিতে সাধারণত সরকারের ঋণ জিডিপি-র ৫৬% হয়। রাজস্বের ৮.৪% যায় তা মেটাতে। অথচ নয়াদিল্লিকে দিতে হয় ২৬%। ফলে বৃদ্ধির হার প্রথম ত্রৈমাসিকে ৬-৬.৩ শতাংশের মধ্যেই আটকে থাকতে পারে। তবে তাদের মতে, দেশের আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল ও বৈদেশিক বাণিজ্যের হালও ভাল। তাই পুরো অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৬.১%। সেটাও অবশ্য রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ৬.৫% পূর্বাভাসের থেকে কম।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত অর্থবর্ষের আর্থিক বৃদ্ধি পূর্বাভাস ছাপিয়ে ৭.২% হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, বর্ধিত চাহিদা, লগ্নি ও উৎপাদনই এর কারণ। তবে ঋণনীতিতে আরবিআই বলেছে, সব ঝুঁকি এবং উন্নতির দিক বিবেচনা করেই চলতি অর্থবর্ষে তা ৬.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement