—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য সরকারি খরচ কমেছিল। কী কেন্দ্রে, কী রাজ্যে। শহরের চাহিদা বৃদ্ধিও গতি হারিয়েছিল হঠাৎ করে। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার পূর্বাভাস, এই সবের প্রভাবে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশে নামতে পারে। যা গত ছ’টি ত্রৈমাসিকের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত বছরের একই সময়ে তা ৮.২% ছিল। মূল্যায়ন সংস্থাটির আরও বক্তব্য, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৮%।
অর্থ মন্ত্রকের মাসিক রিপোর্টে অবশ্য দাবি, কয়েকটি প্রতিকূল শর্ত সত্ত্বেও অর্থনীতির গতি বিশেষ কমবে না। উৎপাদন এবং পরিষেবা ক্ষেত্র সচল। কমেছে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার। এ বছর বৃদ্ধির হার ৬.৫-৭ শতাংশের মধ্যে থাকবে। এই সংখ্যা যদিও ইক্রার পূর্বাভাসের কাছাকাছি। ৩০ অগস্ট গত ত্রৈমাসিকের আর্থিক বৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক।
বৃহস্পতিবার এক রিপোর্ট প্রকাশ করে ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার জানান, গত ত্রৈমাসিকে লোকসভা নির্বাচনের ফলে সরকারি খরচ কমেছিল। তার প্রভাবে গতি কমেছিল কয়েকটি শিল্প ক্ষেত্রের। তার উপরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কার্যত অপ্রত্যাশিত ভাবেই সেই সময়ে শহরের ক্রেতাদের আস্থা ধাক্কা খেয়েছে। অর্থনীতির উপরে বিলম্বিত বিরূপ প্রভাব পড়েছে গত বছরের কম বর্ষা এবং এ বারের বর্ষার মরসুমের শুরুতে অনিয়মিত বৃষ্টির। নায়ারের বক্তব্য, ‘‘তাপপ্রবাহের ফলে বিভিন্ন পরিষেবা ক্ষেত্রে ক্রেতাদের আনাগোনা কম হয়েছিল। বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটা বাড়লেও সব মিলিয়ে ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতির গতি।’’