—প্রতীকী ছবি।
দেশে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি করে ব্যবসায়ী আর্থিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য এর আওতায় আসছেন। আর সে সংক্রান্ত পরিষেবা দিতে ব্যাঙ্কিং প্রতিনিধিও (করেসপন্ডেন্ট) নিয়োগ করছে ব্যাঙ্কগুলি। এ বার সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাতে গ্রাহককে সাইবার হানার মুখে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, এ জন্য ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য ব্যবসায়ী ও ওই প্রতিনিধিদের নো ইয়োর কাস্টমার (কেওয়াইসি) এবং অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া আরও কঠোর করার জন্য নির্দেশ জারি করতে পারে অর্থ মন্ত্রক। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে যে সমস্ত ব্যবসায়ী ও প্রতিনিধি আর্থিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোর প্রক্রিয়া মেনে চলার কথা ভাবা হচ্ছে। গ্রাহক সুরক্ষার পাশাপাশি সুরক্ষিত আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলাই যার লক্ষ্য।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, গত বছর ব্যাঙ্ক অব বরোদার অ্যাপে একাধিক মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে বেশি নথিভুক্তি দেখানোর অভিযোগ সামনে এসেছিল। ভবিষ্যতে সেই ধরনের ঘটনা আটকাতেই এই পথে হাঁটতে পারে অর্থ মন্ত্রক। সূত্রের খবর, সেই লক্ষ্যে জালিয়াতি বেশি হয়, এমন স্থানে ব্যাঙ্কিং প্রতিনিধিদের নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার জন্য ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্টানগুলিকে নির্দেশ দিতে পারে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি বন্ধ করা হতে পারে জালিয়াতিতে যুক্ত মাইক্রো এটিএমগুলিও। উল্লেখ্য, জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুসারে ২০২৩ সালে দেশে আর্থিক ক্ষেত্রে ১১,২৮,২৬৫টি সাইবার হানার ঘটনা দেখা গিয়েছিল। যার সঙ্গে যুক্ত ছিল ৭৪৮৮.৬৩ কোটি টাকা।