প্রতীকী ছবি।
মূল্যবৃদ্ধির হার লক্ষ্যমাত্রা তো ছাড়িয়েছেই, পৌঁছে গিয়েছে চার দশকের সর্বোচ্চ জায়গায়। তবে ভরা কোভিডে কাজের বাজার যে ভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিল, আমেরিকার অবস্থা এখন তার চেয়ে অনেকটাই ভাল। বেড়েছে মজুরিও। এই অবস্থায় মূলত মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরানোকে পাখির চোখ করেই ঋণপত্র কিনে বাজারে নগদের জোগানের প্রকল্প গুটিয়ে ফেলায় গতি বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল সে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজ়ার্ভ। জানাল, আগামী মার্চে শেষ বার ঋণপত্র কেনা হবে। তার পর বাড়ানো হবে সুদ। প্রথম বার বছরের প্রথমার্ধেই। ২০২২ সালে মোট তিন বার তা বাড়ানো হতে পারে।
এ দফার ঋণনীতিতে অবশ্য সুদ অপরিবর্তিতই রেখেছে ফেডেরাল রিজ়ার্ভ। যা এখন ঐতিহাসিক নীচে। ১ শতাংশেরও কম। অন্য দিকে, মূল্যবৃদ্ধির দৈত্যের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে ব্রিটেনকেও। তাদের শীর্ষ ব্যাঙ্ক (ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড) সুদের হার ০.১% থেকে বাড়িয়ে ০.২৫% করেছে। করোনার পরে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিগুলির মধ্যে এই প্রথম কেউ সুদ বাড়াল।
আমেরিকার ঋণনীতির দিকে তাকিয়ে সম্প্রতি কিছুটা নড়বড়ে ছিল সারা বিশ্বের শেয়ার বাজারই। ভারতের বাজার গত চার দিনের লেনদেনেই নীচে নেমেছে। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার কিছুটা হলেও মাথা তুলল সেনসেক্স ও নিফ্টি। সেনসেক্স ১১৩.১১ পয়েন্ট উঠে ৫৭,৯০১.১৪ পয়েন্টে দৌড় শেষ করেছে। নিফ্টি ২৭ পয়েন্ট উঠে হয়েছে ১৭,২৪৮.৪০। ডলারের নিরিখে বেড়েছে টাকার দরও। ১ ডলারের দাম ২৩ পয়সা কমে হয়েছে ৭৬.০৯ টাকা। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার বাজারগুলি উঠলেও ভারতের বাজার সারা দিনই অস্থির ছিল। সামান্য উঠলেও তাকে অস্বস্তিতে রেখেছে দেশের অর্থনীতির অনিশ্চয়তা। আগামী কয়েক দিনেও সম্ভবত এই অস্থিরতা বজায় থাকবে।