প্রতীকী ছবি।
গত এপ্রিল-জুনে দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০.১% হওয়ার পরে জুলাইয়ে শিল্প বৃদ্ধির হারও দাঁড়াল ১১.৫%। ফলে ফের প্রশ্ন উঠল, অর্থনীতির বাস্তব অবস্থা শিল্পোৎপাদনের এই ছবি দেখে বিচার করা উচিত কিনা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, প্রায় ২৪% সঙ্কোচনের নিরিখে জিডিপি যে ভাবে ২০.১% বেড়েছে, সে ভাবেই শিল্প বৃদ্ধির হিসাব গত বছর জুলাইয়ে তা ১০.৫% কমার নিরিখে।
শুক্রবার কেন্দ্র জানিয়েছে, জুলাইয়ে কল-কারখানা, খনন, বিদ্যুৎ, মূলধনী পণ্য, দীর্ঘমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন বেড়েছে বিপুল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, গত বছর জুলাইয়ে কমেছিল প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্র। সেই নিচু ভিতের নিরিখে বৃদ্ধির হার যে উঁচু দেখাবে, তা প্রত্যাশিতই। গত মে, জুনেও হিসাব কার্যত দৈত্যের মতো দেখিয়েছে।
মোদী সরকার বার বারই বলছে, জিডিপি থেকে পরিকাঠামো বৃদ্ধি— নানা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিরোধী মহলের দাবি, জুলাইয়ের শিল্প বৃদ্ধিকেও হয়তো সে ভাবেই দেখাবে কেন্দ্র। যদিও বাস্তবে তা ২০১৯ সালের জুলাইয়ের থেকে নীচে। যখন করোনা আসেনি। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর অবশ্য শিল্প বৃদ্ধির হার প্রকাশ করে বলেছে, গত বছর করোনাজনিত অভূতপূর্ব পরিস্থিতি মাথায় রেখে যেন তা ব্যাখ্যা করা হয়।
গত বছর মার্চের শেষে শুরু হয়েছিল লকডাউন। তালা ঝোলে শিল্পে। উধাও হয় চাহিদা। উৎপাদন লম্বা সময় ধরে হয় বন্ধ থাকে, নয়তো খুঁড়িয়ে চলে। গত বছর জুলাইয়ে কল- কারখানায় উৎপাদন সঙ্কুচিত হয়েছিল ১১.৪%। এ বার বেড়েছে ১০.৫%। খনন, বিদ্যুৎ-সহ বাকি ক্ষেত্রগুলির বৃদ্ধিও সঙ্কোচনের ভিতে পা রেখেই।