কার্লোস ঘোসন। বুধবার। এএফপি
প্রতিনিধি মারফত দাবি করেছিলেন, ‘অবিচার ও রাজনৈতিক নিপীড়ন’ এড়াতেই জাপান ছেড়েছিলেন, তবে পালাননি। লেবাননে পৌঁছে বুধবার প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেও নিসানের প্রাক্তন কর্তা কার্লোস ঘোসন জানালেন, অবিচারের হাত থেকে রেহাই পেতে ও প্রতারণার কলঙ্ক মুছতেই জাপান ছেড়েছেন। ফের নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযোগ করলেন, জাপান প্রশাসন ও নিসান কর্তাদের একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই আক্রমণের ছক করেছিল।
জামিনের শর্ত ও কড়া নজরদারি পেরিয়ে কী ভাবে ঘোসন লেবাননের বেইরুট পৌঁছলেন, সেই কাহিনী শুনতে কান পেতে ছিল বিশ্ব। জল্পনা, তিনি টোকিয়ো থেকে বুলেট ট্রেনে চেপে ওসাকা পৌঁছন। একটি বাক্সে আশ্রয় নিয়ে প্রাইভেট জেটে পৌঁছন ইস্তাম্বুল। সেখান থেকে বেইরুট। বাক্সের মধ্যে নিঃশ্বাস নিতে অনেকগুলি ফুটো ছিল।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে ওই রহস্য উন্মোচিত হবে, সেই আশায় শুরুতেই জল ঢালেন ঘোসন। জানান, কী ভাবে নয়, কেন জাপান ছেড়েছেন তা বলবেন। তাঁর গ্রেফতারির জন্য কর্পোরেট দ্বন্দ্বকে দায়ী করে ঘোসনের
দাবি, নিসানের তিন প্রাক্তন কর্তা ও প্রশাসনের একাংশ আঁতাত করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সাজিয়েছে।
ঘোসন বলেন, ‘‘৪০০ দিন ধরে এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। ১৭ বছর ধরে যে দেশের জন্য কাজ করেছি, সেখানেই বন্দি হলাম। সব সিদ্ধান্ত পর্ষদ নিয়েছে। অথচ ধরে নেওয়া হল আমি দোষী!’’ এই বৈঠক নিয়ে জাপান প্রশাসনের কোনও অবশ্য প্রতিক্রিয়া মেলেনি।