রফতানির লক্ষ্যভেদে বাজি প্রযুক্তিই

ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (ইইপিসি) নতুন চেয়ারম্যান রবি সহগল এ কথা জানিয়ে বলেন, তাঁরা চান এই পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে পূর্ব-ভারতের অংশীদারি বাড়িয়ে অন্তত ১৫% করতে।

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৮ ০২:১৯
Share:

গত ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ভারত থেকে রেকর্ড অঙ্কের (৭,৬২০ কোটি ডলার) ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ হয়েছে পূর্বাঞ্চল থেকে। ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (ইইপিসি) নতুন চেয়ারম্যান রবি সহগল এ কথা জানিয়ে বলেন, তাঁরা চান এই পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে পূর্ব-ভারতের অংশীদারি বাড়িয়ে অন্তত ১৫% করতে। সেই লক্ষ্যে রাজ্যে প্রযুক্তি কেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে ইইপিসি।

Advertisement

সহগলের দাবি, রফতানি হওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের সিংহভাগই ছোট ও মাঝারি শিল্পের তৈরি। প্রতিযোগিতায় এগোতে পণ্যগুলির মান উন্নত করা জরুরি। কিন্তু সে জন্য প্রযুক্তির ব্যবস্থা করতে যে বিপুল অর্থ চাই, অনেক ক্ষেত্রে ওই সব সংস্থার পক্ষে তা খরচ করা সম্ভব হয় না। তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রটি তৈরি করছেন তাঁরা।

ইইপিসির এগ্‌জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর ভাস্কর সরকার জানান, পণ্য উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি আনতে আইআইটি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স-সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা কেন্দ্র পরীক্ষা চালায়। তাদের গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য ইইপিসির ওই কেন্দ্রে থাকবে।

Advertisement

রফতানির লক্ষ্যে উঁচুমানের ঢালাই পণ্য ছাড়াও খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ, চা, ওষুধ ও প্যাকেজিং-সহ নানা ধরণের পণ্যের মেশিন তৈরিতে জোর দিতে চায় ইইপিসি। ভাস্করবাবুর দাবি, এমনিতে ছোট ও মাঝারি শিল্পকে প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা দিতে বিভিন্ন প্রকল্প, সফটওয়্যার রয়েছে। কিন্তু সিংহভাগ উদ্যোগপতিই তা জানেন না। প্রস্তাবিত প্রযুক্তি কেন্দ্রটি থেকে সেগুলি সম্পর্কে বিশদ তথ্য ও ব্যবহারের প্রশিক্ষণ মিলবে।

এই সব সংস্থার উৎপাদিত পণ্যের নকশা তৈরির জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের সঙ্গে চুক্তি করেছেন বলেও জানান ভাস্করবাবু। তাঁর দাবি, নকশা তৈরির আংশিক খরচও দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement